দূষণে মোড়া রাজধানী। —ফাইল চিত্র।
সকাল থেকে ধোঁয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে রাজধানী। দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকায় দূষণমাত্রা ‘মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এর পরিমাণ ৪৫০-এর ঘরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় বিষাক্ত ধোঁয়াশা বা বিষ-ধোঁয়ার ফলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরকে পুরম (৪৫৩), পঞ্জাবি বাগ (৪৪৪), আইটিও (৪৪১) এবং আনন্দ বিহার (৪৩২)-এর মতো এলাকাতেও বায়ুদূষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
চিকিৎসকদের অনুমান, দূষণের ফলে দিল্লির অবস্থা এমন যে, শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেদের এর ফলে শ্বাসকষ্টজনিত নানা রকম রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দূষণের পরিমাণ কমাতে শীর্ষ আদালত দিল্লি সরকারকে ট্যাক্সির ব্যবহার সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছে। রাজধানীর রাস্তায় যে সমস্ত অ্যাপ নিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সি চলে, যেগুলির রেজিস্ট্রেশন দিল্লি ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের হলে অবিলম্বে তার ব্যবহার বাতিল করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, দিল্লিতে বহু সংখ্যক অ্যাপ পরিচালিত ট্যাক্সি রয়েছে যেগুলির রেজিস্ট্রেশন অন্য রাজ্যের। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও দেখা যাচ্ছে রাস্তায় এই ধরনের ট্যাক্সির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সমস্ত ট্যাক্সির রেজিস্ট্রেশন দিল্লিতে রয়েছে শুধুমাত্র সেই ট্যাক্সিগুলিকেই চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উবার অ্যাপ সংস্থার মন্তব্য, পরিবহণ দফতর থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি।
দিল্লির স্কুলগুলিতে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতের ছুটি থাকে। তবে এ বারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন বলে মনে করছেন দিল্লি প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা। দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি সরকার পরিচালিত স্কুলগুলিতে শীতের ছুটি থাকবে। সরকারি নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিকেও ওই সময় ছুটি ঘোষণা করার অনুরোধ করা হয়েছে।