(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ যাদব। রাবড়ী দেবী। — ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) প্রধান লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং দুই মেয়ে মিসা ভারতী, হেমা যাদবকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল দিল্লির একটি আদালত। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। জমির বিনিময়ে চাকরিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
আদালত জানিয়েছে, তদন্তের সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তা হলে কেন এখন তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার বা গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়ছে? ইডি দাবি করেছে, রাবড়ীদের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে তাদের কিছু সময় প্রয়োজন। এর পরেই রাবড়ী, মিসা এবং হেমাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে দিল্লির আদালত।
২৭ জানুয়ারি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী এবং দুই মেয়েকে সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির আদালত। ইডি তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল। তার পরেই বিশেষ বিচারক বিশাল জানিয়েছিলেন, রাবড়িদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। শিল্পপতি অমিত কাটিয়ালকে আদালতে হাজির করানোর জন্যও পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। জমির বিনিময়ে চাকরিকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অমিত। গত নভেম্বরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
জমির বিনিময়ে চাকরিকাণ্ডে গত ২৯ নভেম্বর লালুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তার আগে বেশ কয়েক বার তলব করলেও হাজিরা দেননি লালু। এর পরেই গত ১৯ জানুয়ারি লালুকে সমন পাঠায় ইডি। তার পর ২৯ জানুয়ারি হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
অভিযোগ, লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। বদলে তাঁদের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই জমি তাঁরা লালুর পরিবারের সদস্য এবং এক ইনফোসিস্টেমস সংস্থার নামে লিখে দিয়েছিলেন। এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের বলে দাবি ইডির। ঘটনার তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। পটনা, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল তারা। তার পর অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল। গত মাসে এই দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেয় ইডিও।