শ্রদ্ধার দেহাংশ হাতে না পাওয়ায় তাঁর শেষকৃত্য করা যায়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ফাইল চিত্র
শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মামলায় অবশেষে চার্জ গঠন হল। মঙ্গলবার দিল্লির আদালতে এই চার্জ গঠন করা হয়েছে। আর তাতে শ্রদ্ধার খুনি হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর ‘প্রেমিক’ আফতাব পুনাওয়ালাকেই।
দিল্লির এই খুনের ঘটনা এবং তার নৃশংসতা দেখে গত বছর চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। পুলিশ জানিয়েছিল, শ্রদ্ধাকে তাঁর প্রেমিক তথা একত্রবাস সঙ্গী আফতাব খুন করে, তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটেছিলেন। পরে সেই দেহ বাড়ির ফ্রিজারে সংরক্ষণ করে রেখে ধীরে ধীরে দেহ লোপাট করেন আফতাব। যদিও এই বিবরণের সপক্ষে আফতাবের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধাকে হত্যা করার কোনও প্রমাণ দীর্ঘ দিন পায়নি পুলিশ। পাওয়া যায়নি শ্রদ্ধার দেহাংশও।
মঙ্গলবার দিল্লির সাকেত আদালতে অতিরিক্ত দায়রা বিচারক মনীষা খুরানা কক্করের এজলাসে তোলা হয় আফতাবকে। আফতাবকে বিচারক বলেন, ‘‘গত ২০২২ সালের ১৮ মে ভোর সাড়ে ছ’টার পর আপনি শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করেছিলেন। এই অপরাধ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় শাস্তিযোগ্য।’’ বিচারক এর পর আফতাবকে বলেন, ‘‘গত ১৮ মে থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত আপনি সজ্ঞানে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছেন, সেগুলি লোপাট করার জন্য এবং ছতরপুর-সহ অন্যান্য জায়গায় সেগুলো ফেলে এসেছিলেন। যা আদতে প্রমাণ লোপাট।’’
এর পর আদালত আফতাবের কাছে জানতে চায়, ‘‘আপনি কি এই অপরাধ স্বীকার করছেন?’’ জবাবে আফতাবের আইনজীবী জানান তাঁরা শুনানি চান। আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলায় পরবর্তী শুনানি শুরু হবে ১ জুন থেকে।
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধার দেহাংশ হাতে না পাওয়ায় তাঁর শেষকৃত্য করা যায়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা। গত এপ্রিলের শেষে তিনি বলেছিলেন, এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতে পাঠানো হোক। ৯ মে-র মধ্যে তা না করলে তিনি অনশনে বসবেন। মঙ্গলবার ছিল ৯ মে।