— প্রতীকী চিত্র।
দুই কন্যাকে খুনের দায়ে মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। ২০১৮ সালে নিজের দুই নাবালিকা কন্যাকে খুন করেছিলেন মহিলা। সাজা ঘোষণার সময় আদালত এই ঘটনাকে ‘শীতল মস্তিষ্কে হত্যা’ বলে মন্তব্য করেছে। এটি একটি বিরল থেকে বিরলতম মামলা বলেও মন্তব্য করেছে দিল্লির নিম্ন আদালত। পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে, এই জঘন্য অপরাধে আদালত চমকে গিয়েছে। কারণ, সমাজে মায়েদের যে রূপটি চিত্রায়িত তা সযত্নে লালন-পালনের, নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও মানবিকতার।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন বছর বত্রিশের লীলাবতী। মৃত দুই কন্যার একজনের বয়স ছিল পাঁচ বছর, অপর জনের বয়স মাত্র পাঁচ মাস। দিল্লির তিস হাজারি আদালতের বিচারক সচিন জৈন জানিয়েছে, মহিলার আরও দুই সন্তান রয়েছে। তাদের জন্য মহিলার পুনর্বাসন এবং সমাজের মূল স্রোতে ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের তুলনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বেশি গ্রহণযোগ্য।
আদালতের মন্তব্য, “একজন মা তাঁর দুই কন্যাকে যে ভাবে হত্যা করেছেন, তা আদালত তথা গোটা সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। যে ভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই যে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। এটি একটি বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা।” তবে একই সঙ্গে বিচারক এ-ও জানিয়েছেন, ওই মহিলার আরও দুই সন্তান জীবিত। ২ বছরের এক পুত্র এবং ৭ বছরের এক কন্যা। তাদের ভাল থাকা এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজনের দিকটিও আদালতকে ভাবতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাদের জীবন থেকে মাকে পুরোপুরি মুছে দেওয়া হলে, তাদের বেড়ে ওঠার উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দোষী সাব্যস্ত মহিলা তুলনায় কম বয়সি এবং এখনও তাঁর পুনর্বাসনের এবং সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।