পঞ্জাবে সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে ফাইল ছবি।
পঞ্জাবে নির্বাচিত আম আদমি পার্টির (আপ) সরকার ফেলতে ১১ জন বিধায়ককে প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। যে দিন গোয়ায় বেশির ভাগ কংগ্রেস বিধায়ক দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিলেন, সে দিনই আপ ১১ জন বিধায়কের নাম জানিয়ে দিল, যাঁদের ‘কিনতে’ চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি বলে দাবি অরবিন্দ কেজরীবালের দলের।
আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল বলেন, ‘‘পঞ্জাবে আমাদের ১০ জন বিধায়ককে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছে। ওরা বিধায়ক কিনে সরকার ফেলার চেষ্টা করছে।’’ এর পরই গোয়ার নাম না করে তাঁর সংযোজন, ‘‘অপারেশন লোটাসের নামে যে ভাবে বিজেপি দেশে বিধায়ক কিনছে, তা একেবারেই ভুল। অবশ্য এতে কংগ্রেসেরও দোষ আছে। বিজেপি তো পঞ্জাব বা দিল্লিতে আমাদের এ ভাবে ভাঙতে পারেনি।’’
পঞ্জাবের আপ সরকারের মন্ত্রী হরপাল চিমার দাবি, মোট ১১ জন আপ বিধায়ককে লোভ দেখিয়ে ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তিনি তাঁদের নামও প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তাঁর হাতে যথেষ্ট প্রমাণ আছে দাবি করে চিমা জানিয়েছেন, পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে তিনি অভিযোগ দায়ের করবেন এবং তাঁকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আপ বিধায়কদের কথোপকথন শোনাবেন।
আপের অভিযোগ, দিল্লিতেও আপ বিধায়কদের লোভ দেখিয়ে বিজেপি সেখানেও ‘অপারেশন লোটাস’ সফল করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। তাই এ বার বিজেপি নজর ঘুরিয়েছে পঞ্জাবের দিকে।
প্রসঙ্গত, অন্য দলের বিধায়কদের দলে টেনে সরকার দখল করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রেও ‘টাকার খেলা’ দেখিয়েই শিবসেনা বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে সরকার গড়েছে বিজেপি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। একেই বিরোধীরা ‘অপারেশন লোটাস’ নামে চিহ্নিত করছেন। কেজরীবালের দাবি, একই চেষ্টা বিজেপি দিল্লি ও পঞ্জাবেও করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই আপ নেতাদের মুখে উঠে এসেছে গোয়া প্রসঙ্গ। বুধবার, সেখানেই ১১ জনের মধ্যে ৮ জন কংগ্রেস বিধায়ক হাত ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আপ সাংসদ রাঘব চড্ডা টুইটে লিখেছেন, ‘অপারেশন লোটাস’ দিল্লি, পঞ্জাবে ব্যর্থ হলেও গোয়ায় কেন সফল? কারণ, যখন আপনি কংগ্রেসকে ভোট দেন, তখন আসলে আপনি ভোট দেন এক জন ভবিষ্যতের বিজেপিকে। কংগ্রেসের দিন শেষ!
বিজেপি প্রত্যাশিত ভাবেই আপের তোলা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে। বিজেপি নেতা সুভাষ শর্মা বলেন, ‘‘পঞ্জাবের মন্ত্রী হরপাল চিমা বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ফেলার চক্রান্তের যে অভিযোগ করছেন তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার, পঞ্জাবে বড় ফাটল ধরতে চলেছে আপে। কেজরীবালের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের জেরেই আপ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।’’