অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সদর দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে এই নিয়ে চতুর্থ নোটিস পাঠানো হল।
এর আগে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্তে মোট তিন বার কেজরীওয়ালকে তলব করেছে ইডি। প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শেষ বার গত ২২ ডিসেম্বর তাঁকে সমন পাঠিয়ে গত ৩ জানুয়ারি ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু সে বারেও হাজিরা এড়ান আপ প্রধান। তার আগে তাঁকে গত ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর তলব করে দু’টি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনA বারেই ইডির সামনে হাজির হননি তিনি। উল্টে প্রশ্ন তুলেছেন, দু’বছর ধরে আবগারি দুর্নীতির মামলা চললেও কেন সিকি পয়সাও উদ্ধার করতে পারলেন না তদন্তকারীরা? কেন লোকসভা ভোটের আগেই বার বার সমন পাঠানো হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি সমন পাঠানোর পরে কেজরীওয়ালের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, ওই মামলায় আদালতে জমা দেওয়া দ্বিতীয় চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছিল ইডি। যা দেখে সরকারি মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ ‘বৃত্ত’ ছোট করে আনছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। আপ নেতৃত্ব আগেই অভিযোগ তুলেছিল, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে কেজরীকে গ্রেফতারের ছক কষেছে ইডি। তাই শেষ পর্যন্ত কেজরী ইডি-র ডাকে সাড়া দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীওয়ালকে প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে এই মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতে সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, আপ সরকারের আমলে আবগারি নীতি বদলে ফেলে কয়েকটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিতর্কের জেরে ২০২২ সালে নয়া আবগারি নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল দিল্লির আপ সরকার। কিন্তু তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে নাম আছে তৎকালীন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া এবং সাংসদ সঞ্জয়ের। এই মামলায় গত ফেব্রুয়ারিতে সিসৌদিয়া এবং অক্টোবরে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়।