অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে বৃহস্পতিবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইডির পাঠানো সমনকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বললেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কেজরী বলেন, ‘‘ইডি-র অবিলম্বে ওই সমন প্রত্যাহার করা উচিত। আমি আমার জীবন সততা এবং স্বচ্ছতার সাথে কাটিয়েছি। আমার লুকোনোর কিছুই নেই।’’ বৃহস্পতিবারও ইডি-র তলবে সাড়া দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুরু করেছেন ১০ দিনের বিপাসনা কর্মসূচি।
এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীকে গত ২ নভেম্বর ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হননি আপ প্রধান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সে বারও কেজরী তাঁকে তলব করার ঘটনাকে ‘বেআইনি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছিলেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি সমন পাঠানোর পরে কেজরীওয়ালের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, ওই মামলায় আদালতে জমা দেওয়া দ্বিতীয় চার্জশিটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছিল ইডি। যা দেখে সরকারি মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ ‘বৃত্ত’ ছোট করে আনছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। আপ নেতৃত্ব আগেই অভিযোগ তুলেছিল, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে কেজরীকে গ্রেফতারের ছক কষেছে ইডি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার ‘ডাকে’ সাড়া না দিয়ে কেজরী সরাসরি নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ এপ্রিল আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীওয়ালকে প্রায় সাড়ে ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে এই মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতে সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে ইডি। প্রসঙ্গত, আপ সরকারের আমলে আবগারি নীতি বদলে ফেলে কয়েকটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রবল বিতর্কের জেরে গত বছর সেই ‘আবগারি নীতি’ বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল কেজরীওয়াল সরকার। কিন্তু তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।