মায়াবতী। ফাইল চিত্র।
এক দিকে প্রকাশ্য জনসভায় বিজেপি তথা অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করছেন। অন্য দিকে দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে কার্যত বিজেপির হাতই শক্ত করছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, তাঁর দলিত-মুসলমান ভোট ধরে রাখতে প্রকাশ্যে বিজেপি-বিরোধী ভাবমূর্তি রাখাটা জরুরি। আবার সিবিআই তদন্তের খাঁড়া ঘাড়ে থাকায় বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া তাঁর বাধ্যবাধকতা।
আজ একটি টুইট করে মায়াবতী বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রের চ্যালেঞ্জ স্বীকার করছি। বিতর্কিত সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে দেশ উত্তাল। বিশেষ করে মহিলা এবং যুবশক্তি এর বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টি নিয়ে যে কোনও জায়গায় যে কোনও মঞ্চে বিতর্কে প্রস্তুত।’’ পরশু লখনউয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন— ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গাঁধী, মায়াবতী-সহ যে কোনও বিরোধী নেতা, এই আইন নিয়ে খোলা মঞ্চে সরকারের সঙ্গে বিতর্কে আসুন।
অমিতের এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পাশাপাশি মায়াবতী দিল্লি নির্বাচনে সব কটি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়ে বিরোধী ভোট কাটার চেষ্টাই করছেন বলে ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছে কংগ্রেস এবং এসপি নেতৃত্ব। ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি তালকাটোরা স্টেডিয়ামে তাঁর প্রথম জনসভাটি করবেন। দিল্লিতে মোট ৩টি জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
মায়াবতীর পাশাপাশি ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ একটি সাক্ষাৎকারে আজ বলেছেন, ‘‘এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর দলিত-বিরোধী। পিছড়ে বর্গ এবং অনুন্নত শ্রেণির মানুষেরও বিরোধী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এক দিন সব বাগই শাহিন বাগ হয়ে উঠবে।’’