ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লি। —ফাইল ছবি।
ধোঁয়াশায় ঢাকা দিল্লিতে শনিবার বাতাসের গুণমানের সূচক (একিইউআই) ‘খুব খারাপ’-ই রইল। রাজধানীর গড় একিউআই ৩৫০-এর উপরে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর পরিসংখ্যান। তবে কিছু এলাকায় একিউআই ছিল ‘অতি ভয়ানক’। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দিল্লির সামগ্রিক একিউআই ‘অতি ভয়ানক’ মাত্রায় পৌঁছেছিল।
সিপিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লির আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৭৭, অশোক বিহারে ৩৭০, আরকে পুরমে ৩৬৬, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩৩৭, ওয়াজিরপুরে ৩৭৮। দিল্লির কিছু জায়গায় একিউআই ৪০০ ছাড়িয়েছে শনিবারও। অর্থাৎ সেখানে বাতাসের গুণমানের সূচক ‘অতি ভয়ানক’ রয়েছে। বাওয়ানায় ৪০৫, মুণ্ডকায় ৪০৮, জাহাঙ্গিরপুরীতে ৪০৪, শাদিপুরে ৪১২ ছিল একিউআই।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।
দিল্লি এবং এনসিআরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার স্তরীয় পরিকল্পনা রয়েছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)-এর। একেই বলে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)। দিল্লিতে একিইউআই ‘খারাপ’ হলে জিআরএপি-১ চালু করা হয়। সে সময় রাস্তায় মাঝেমধ্যে জল ছেটানো হয়। বর্জ্য খোলায় জায়গায় পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। একিউআই ৩০০-র গণ্ডি ছাড়ালে জিআরএপি -২ চালু করা হয়। এই পরিকল্পনা চালু করা হলে রোজ রাস্তায় জল ছেটানো হয়। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। মেট্রো, ব্যাটারিচালিত বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। একিউআই ৪০০ ছাড়ালে জিআরএপি-৩ চালু করা হয়। সে সময় দিল্লি, এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে জিআরএপি -৪ চালু করা হয়। যে সব গাড়ির নম্বর অন্য রাজ্যের, সেগুলি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী সোমবার পর্যন্ত দিল্লিতে জিআরএপি-৪ চালু থাকতে চলেছে।