ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আগুন পোহানো। প্রতীকী ছবি।
কনকনে ঠান্ডা থেকে আপাতত মুক্তি পেতে চলেছে উত্তর ভারত। কয়েক দিন ধরেই প্রবল শীতে রীতিমতো কাঁপছিল দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি। শীতের সঙ্গে ভোগান্তি বাড়িয়েছিল ঘন কুয়াশাও। রেলের তরফে জানানো হয়, কুয়াশার কারণে অন্তত ১৪টি দূরপাল্লার ট্রেন সঠিক সময়ে দিল্লি পৌঁছতে পারেনি। তবে দিল্লির সফদারজং হাওয়া অফিস জানিয়েছে বছর শেষে অনেকটাই বাড়বে তাপমাত্রা। তবে ইংরেজি নতুন বছরে আবার পারদ পতনের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত সোমবার দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সেটাই বেড়ে হয় ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা অনেকটাই বেড়ে হয় ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন উত্তর ভারতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
মৌসম ভবন সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনে দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাবে আরও ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে কয়েক দিনের জন্য এই রাজ্যগুলিতে শীতের প্রকোপ কমতে পারে। গত মঙ্গলবারও দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা হিমাচলের ধর্মশালা (৬.২ ডিগ্রি), উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূন (৭ ডিগ্রি)-র তুলনায় অনেকটাই কম।
হাওয়া অফিসের এক কর্তা জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে উত্তুরে হাওয়া। তবে উত্তরের রাজ্যগুলিতে তুষারপাত হওয়ায় মঙ্গলবারও কনকনে হাওয়া বয়েছে দিল্লিতে। নতুন বছরে আবার জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।