অনশন প্রত্যাহারের পর প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
‘এক পদ এক পেনশন’ বিষয়ে শনিবার এক পা এগিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার এক পা এগোলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। এক পদ এক পেনশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে অবশেষে দীর্ঘ বাইশ দিন পর অনশন তুলে নিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। স্বেচ্ছাবসরকারীরাও এক পদ এক পেনশন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত— এ দিন জানালেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোদী। স্বেচ্ছাবসরকারীরা এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত বলে জানান তিনি। এর পরই অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন যন্তর মন্তরের প্রদর্শনরত ফৌজিরা।
তবে অনশন তুলে নিলেও যত দিন না তাঁদের সব দাবি মেটানো হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত সেনাকর্মীরা। যদিও সরকারের অবস্থান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন তাঁরা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর যন্তর মন্তরের সামনে থেকে একটি গৌরব মিছিল বার করবেন সেনারা।
ভোটের আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে একশো দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীতে ‘এক পদ, এক পেনশন’ প্রকল্প চালু করা হবে। কিন্তু, বছর ঘুরে গেলেও তা না হওয়ায় মাস তিনেক ধরে দিল্লির যন্তর মন্তরের সামনে বিক্ষোভে বসেন প্রাক্তন সেনারা। বাইশ দিন ধরে চলে অনশন। দীর্ঘ নীরবতার পর এ দিন মুখ খোলেন মোদী। স্পষ্ট করেন সরকারের অবস্থান। মোদী বলেন, “দেশরক্ষার জন্য আপনারা জীবন উত্সর্গ করেছেন। সরকার আপনাদের অস্বীকার করতে পারে না। প্রত্যেক সেনাই এই প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। এমনকী, যে সেনা পনেরো বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করে অবসর নিয়েছেন, সে-ও এক পদ এক পেনশনে’ প্রকল্পের আওতায় আসবেন। বাধ্য হয়ে বাহিনী ছাড়লেও পেনশন পাবেন সেই সেনাকর্মী।” ফরিদাবাদের একটি জনসভা থেকে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর এই ঘোষণার পরই একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে অনশন তুলে নেন প্রাক্তন সেনারা।
যদিও সেনাদের তরফে মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সত্বীর সিংহ হুঁশিয়ারি, “সব দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। যদি সরকার তাঁদের দাবি না মেটায় তবে ফের আমরণ অনশনে বসবেন সেনারা।”
সেই সঙ্গে কেন্দ্রের প্রস্তাব মতো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠনে তাঁদের যে সায় নেই তা-ও জানিয়েছেন ওই ফৌজিকর্তা। পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করবে কমিটি। এক মাসের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। এক মাসের মধ্যেই সরকার ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্প চালু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা।