প্রতীকী ছবি।
হওয়ার কথা ছিল কৃষক আন্দোলনের উদাহরণকে সামনে রেখে কী ভাবে আরও ‘শ্রেণি ঐক্য’ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা। হয়ে দাঁড়াল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানো উচিত কি উচিত না, তা নিয়ে বিতর্ক। ‘চির পুরাতন’ কেরল বনাম বাংলা লবির লড়াই।
আগামী বছর সিপিএমের পার্টি কংগ্রেসের আগে দলের রাজনৈতিক লাইনের রূপরেখা ঠিক করতে দিল্লিতে শুক্রবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসেছে। কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে গণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সিপিএম নেতারা মনে করছেন, শুধু সংসদীয় নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপিকে হারানো যাবে না। তার জন্য কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, মহিলা, দলিত-আদিবাসী বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু তা নিয়ে আলোচনার বদলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক বেধে গিয়েছে।
প্রথম দিনেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার পথে থাকা সীতারাম ইয়েচুরির লাইনের বিরোধিতা করেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শনিবার দ্বিতীয় দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে কেরল ও বাংলা ব্রিগেড বিপরীত মেরুতে পৌঁছে গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সহ ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে— তিন বছর আগে হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক লাইনকেই আরও দৃঢ় করতে চাইছেন ইয়েচুরি। তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, ত্রিপুরার মতো একদা বাম শাসিত রাজ্যে বিজেপির দাপটের পরে এই রাজনৈতিক পন্থা লঘু করার প্রশ্নই নেই। উল্টো দিকে কেরল লবি ইয়েচুরির রাজনৈতিক লাইন খারিজ করতে কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধিতায় বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও শূন্য হাতে ফেরা বাংলার নেতারা আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার পক্ষে, ইয়েচুরিরই পাশে। আজ সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, মৃদুল দে-রা বাংলার হয়ে সওয়াল করেছেন।