দুর্ঘটনার পর আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকল। ছবি: পিটিআই।
রাজস্থানের জয়পুরে সিএনজি ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা এবং বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৩০ জন। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, রাজ্য সরকারের কাছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০ জানুয়ারির মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মৃত এবং আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেছে তারা। মৃতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারও মৃতদের পরিবারের জন্য আলাদা ভাবে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, রাসায়নিক ভর্তি কয়েকটি ট্যাঙ্কার এবং তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ হওয়ায় এলাকার বাতাসে সেই রাসায়নিক মিশেছে। অনেকেরই চোখজ্বালা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই ছিল এবং আগুনের হলকা এতটাই উঁচুতে উঠেছিল যে, বেশ কিছু পাখিও মারা গিয়েছে। ট্রেলার, ট্রাক, কন্টেনার, পিকআপ ভ্যান, মোটরবাইক, অটোরিকশা, সাতটি গাড়ি এবং দু’টি বাস মিলিয়ে ৪০টি গাড়ি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার জয়পুর-অজমের হাইওয়ের ধারে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে দাঁড় করানো একটি সিএনজি ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে এলপিজিবোঝাই ট্রাক। সেই সংঘর্ষে সিএনজি ট্যাঙ্কার লিক হয়ে যায়। তার পরই আগুন ধরে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের তীব্রতা ৩০০ মিটার জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। যার জেরে একের পর এক গাড়ি জ্বলে গিয়েছে। এত দ্রুত ঘটনাটি ঘটেছে যে অনেকে গাড়ি থেকে বেরোতেই পারেননি। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।