সেনা নামিয়ে, কার্ফু জারি করেও সংরক্ষণের ইস্যুতে অশান্ত হরিয়ানাকে শান্ত করা যায়নি।
আজ, বিক্ষোভ-আন্দোলনের সপ্তম দিনেও রোহতক ও ঝিন্দ সহ হরিয়ানার বেশ কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়িও। বেশ কিছু বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে। রোহতকে বাস, গাড়ি, পেট্রোল পাম্প, এমনকী, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর বাড়িতেও লাগানো হয়েছে আগুন।
শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত হরিয়ানায় জাঠ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন আট জন। গুরুতর জখম হয়েছেন কম করে ১৫০ জন।
আরও পড়ুন- রোহতকে কপ্টারে সেনা, জারি তাণ্ডব
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে নিয়ে সংরক্ষণ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ জাঠেরা তাঁদের লাগাতার আন্দোলন বন্ধ করতে রাজি হননি। তাঁদের বক্তব্য, শুধু বিবৃতি দিয়ে বা আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্ডন্যান্স জারি করলেই হবে না। তাঁদের দাবি যে পুরোপুরি মেনে নেওয়া হয়েছে, তা খাতায়-কলমে প্রমাণ করে দিতে হবে প্রশাসনকে।
রাজ্যের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী অনিল ভিজ রবিবার বলেছেন, ‘‘ওবিসি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণ চালু করতে বিজেপি-র নীতিগত ভাবে কোনও দিনই আপত্তি ছিল না। এখনও নেই। কিন্তু সরকার তো আর উপযাচক হয়ে যার তার সঙ্গে কথা বলতে পারে না। বিক্ষোভকারীরা এই ইস্যুটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গড়ে তুলুন। তার পর চাইলে, কথা বলতে আসুন সরকারের সঙ্গে।’’
ও দিকে, সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও শান্তি ফিরে আসার কোনও লক্ষণ তো নেই-ই, উল্টে বিক্ষোভ ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা আরও বেড়ে যাওয়ায় শনিবারই কেন্দ্রের কাছে আরও সেনা ও আধা সেনা পাঠানোর আর্জি জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।