কান্নার রোল গোটা সুলিভাদি গ্রাম জুড়ে।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে কর্নাটকের চামরাজনগর জেলার সুলিভাদি গ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩জন। রবিবার মৃত্যু হয় আরও দু’জনের।মৃতেরা হলেন মাগেশ্বরী(৩৫)এবং সালাম্মা(৩৬)। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা সুরেশ শাস্ত্রীর কথায়, ‘‘আর একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন আরও চার জন রোগী। যাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।”
শুক্রবার সুলিভাদি গ্রামের মারাম্মা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ২০০ ভক্ত। পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ হয়। সেই প্রসাদ খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই বমি শুরু হয় কয়েক জন ভক্তের। পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতেও থাকেন অনেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রসাদ খাওয়ার পর পরই বেশ কয়েক জন তাতে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়ার অভিযোগও করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ছ’জনের। সঙ্কটজনক অবস্থায় কিছু ভক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহীশূরে। খাদ্যে বিষ মেশানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, মন্দিরের বেশ কিছু গরু এবং পাখিরও মৃত্যু হয়েছে ওই প্রসাদ খাওয়ার ফলে।
সুলিভাদির সেই মন্দির।
সুলিভাদির গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মন্দির কর্তৃপক্ষের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই মন্দির দেখভালের দায়িত্বভার সঁপে দিয়েছেন গ্রামবাসীদেরই হাতে। শুক্রবারই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে যান। মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নোট নিষিদ্ধ করার জের! পর্যটক হারাতে পারে নেপাল
আরও পড়ুন: ভারতীয় গ্রাহকদের তথ্য মুছে ফেলবে মাস্টারকার্ড, নিরাপত্তা দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)