গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
ঘুমন্ত সহকর্মী ও তাঁর স্ত্রীর গায়ে সালফিউরিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছিল। অ্যাসিড হামলায় মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। মহারাষ্ট্রের পালঘরের এমনই একটি ঘটনায় ২৮ বছরের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল জেলা আদালত। ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে এই ঘটনাটিকে।
বিহারের বাসিন্দা অপরাধী মহারাষ্ট্রের কোলওয়াড়ে গ্রামে থাকত কর্মসূত্রেই। গুড্ডু কৃষ যাদব পালঘরের বায়সারে একটি রাসায়নিক কারখানায় কাজ করত। ২০১৫ সালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। সহকর্মী রাজকুমার বলরাম রবিবাসের ফোন চুরি করেছিল গুড্ডু। সেই কথা কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন রবিদাস। গুড্ডুকে এ বিষয়ে সাবধানও করেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, বসের সঙ্গে বচসা ও সহকর্মীর উপর এই রাগ থেকেই প্রতিশোধের পরিকল্পনা করেন তিনি। বছর পঁয়ত্রিশের রবিদাস ও তাঁর স্ত্রী গীতা (৩০) কারখানা চত্বরেই একটি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। দরজা খুলে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই গুড্ডু গরম সালফিউরিক অ্যাসিড ঢেলে দেয় রবির গায়ে। স্বামীর চিৎকারে গীতার ঘুম ভেঙে গেলে গীতার গায়েও কারখানা থেকে চুরি করে আনা অ্যাসিড ঢেলে পালিয়ে যায় গুড্ডু।
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ির সামনেই রাতে গলা কেটে খুন যুবককে
অন্য কোনও সহকর্মী যাতে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে না পারে তাই ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়েছিল গুড্ডু।
আরও পড়ুন: মাছি ভনভন মোদীর পড়শিদের ঝুপড়িতে
অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী দীপক তারে বলেন, ‘‘প্রত্যক্ষদর্শীরাও গুড্ডুকে শনাক্ত করেছেন। রবি ও গীতার তিনটি নাবালক সন্তানও রয়েছে। এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যেও বিরলতম’। তাই মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কোন শাস্তি হওয়ার উপায়ও নেই।’’ ওই দম্পতির শিশুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি এখনও আদালত স্থির করেনি।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় গুড্ডুর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল, জানান তিনি। ১২ জন এই ঘটনায় সাক্ষী দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।