CJI

CBI: বিচারপতিদের নামে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট করে অন্ধ্রে গ্রেফতার ৫, বড় ষড়যন্ত্র দেখছে সিবিআই

অন্ধ্রের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ নন্দীগ্রাম সুরেশ এবং প্রাক্তন বিধায়ক আমানচি কৃষ্ণ মোহন জড়িত থাকতে পারেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২১ ১৭:৪২
Share:

ছবি সংগৃহীত

নিম্ন আদালতের বিচারকেরা হুমকির অভিযোগ জানালেও সাহায্য পান না। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে এমনই মন্তব্য করেছিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। এর পরই তৎপর হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে ‘অবমাননাকর' বিষয় পোস্ট করার অপরাধে রবিবার পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

Advertisement

বিচারপতিদের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে ‘বিরূপ’ পোস্টের ঘটনার পিছনে বৃহৎ ষড়যন্ত্র দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এই কাণ্ডের সঙ্গে অন্ধ্রের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ নন্দীগ্রাম সুরেশ এবং প্রাক্তন বিধায়ক আমানচি কৃষ্ণ মোহন জড়িত থাকতে পারেন। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সিবিআই মুখপাত্র আরসি জোশী। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জোশী জানান, ‘‘অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতিদের দেওয়া কিছু রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ওই বিচারপতি এবং বিচারব্যবস্থাকে নিশানা করা হয়েছে নেটমাধ্যমে। পরিকল্পিত ভাবে আপত্তিকর কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে।’’

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের বিচারক খুনের মামলার শুনানিতে বিচারপতি এনভি রামানা বলেছেন, ‘‘রায় মনঃপূত না হলেই বিচারবিভাগের গায়ে কাদা ছোড়া হয়। প্রভাবশালীদের মামলায় লাগাতার হেনস্থা করা হয় বিচারপতিদের। সিবিআই, আইবি-- কোনও সংস্থার সহযোগিতা মেলে না। কোনও বিচারপতি এ নিয়ে অভিযোগ করলেও, সাড়াশব্দ করে না কেউ। কোনও সংস্থাই বিচারব্যবস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করে না।’’ তার পরই এই পদক্ষেপ করল সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement