ইকবাল কাসকর (বাঁ দিকে) ও দাউদ ইব্রাহিম (ফাইল চিত্র)।
দাউদ নাকি খুবই অসুস্থ। অনেক দিন ধরেই এই খবরটা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আসছিল। কিন্তু ডনের ভাই ধৃত ইকবাল কাসকরের মুখে শোনা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত তথ্য।
পুলিশের জেরায় কাসকর দাবি করেছে, আসলে দাউদের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যে খবর রটেছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। দাউদ পুরোপুরি সুস্থ এবং বহাল তবিয়তেই আছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা নিয়ে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে! ঠাণের এক পুলিশ অফিসার জানান, জেরায় কাসকর আরও দাবি করেছে যে, তার স্ত্রী রিজওয়ানা দুবাইয়ে চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকে। গত বছরে সেখানে রিজওয়ানের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল দাউদের স্ত্রী মেহজাবিন। তার সঙ্গে পাকিস্তানের পাসপোর্টও ছিল। ওই সময়েই রিজওয়ানের ফোনে ‘ভাবি’র সঙ্গে তার কথা হয় বলে দাবি করে কাসকর।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে এসেছিল দাউদের স্ত্রী, দাবি কাসকরের
আরও পড়ুন: পাকিস্তানেই রয়েছেন ডন, জেরায় স্বীকার দাউদের ভাই ইকবাল কাসকরের
কাসকরের দেওয়া এই তথ্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। দু’দিন আগেই কাসকর পুলিশের কাছে জানিয়েছিল, ফোন ট্যাপ হওয়ার আশঙ্কায় ভারতে তাঁর আত্মীয়দের এবং লোকজনদের ফোন করছে না। পরে আবার দাউদের স্ত্রীর তত্ত্বও সামনে আনে সে। কাসকরের এই দাবির কোনও সত্যতা আছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর তোলাবাজির মামলায় কাসকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুম্বইয়ে দাউদের রিয়েল এস্টেট-এর ব্যবসা সামলাতেন কাসকর। বেশ কয়েক বছর ধরেই ঠাণে ও মুম্বইয়ে দাউদের লোকেদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছিল। দিনে দিনে তোলাবাজির দাপটও বেড়ে চলেছিল। ২০১৩ থেকে ঠাণেতে দাউদের নাম করে রিয়েল এস্টেট-এর ব্যবসায়ী হুমকি দিচ্ছিলেন কাসকর। অবশেষে পুলিশের জালে পড়েন তিনি। জেরায় সে পুলিশকে জানায়, শুধু দাউদ নয়, তাঁর ভাই আনিস ইব্রাহিমও পাকিস্তানে আছেন। সম্প্রতি তাঁদের সঙ্গে কথাও হয়েছে তার। শুধু তাই নয়, পুলিশকে দাউদের চার-পাঁচটি ঠিকানাও তুলে দেয় সে।