National News

বাঁধ ভেঙে মহারাষ্ট্রে বানভাসি ৭ গ্রাম, মৃত ৬, নিখোঁজ অন্তত ২০

মুম্বই থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে রত্নগিরির তিওয়ারে বাঁধ-লাগোয়া এলাকায় নিখোঁজদের খোঁজ-তল্লাশ ও উদ্ধারে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল। উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে রাজ্য পুলিশ, সরকারি কর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সদস্যদের নিয়ে গড়া আরও একটি দলও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ১১:১৬
Share:

ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের স্লুইস গেট ভেঙে যাওয়ায় মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলায় বানভাসি হয়েছে সাতটি গ্রাম। বাঁধ-লাগোয়া অন্তত ১২টি বাড়ি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৬। নিখোঁজ অন্তত ২০ জন। তিওয়ারে বাঁধের স্লুইস গেট ভেঙেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ।

Advertisement

মুম্বই থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দূরে রত্নগিরির তিওয়ারে বাঁধ-লাগোয়া এলাকায় নিখোঁজদের খোঁজ-তল্লাশ ও উদ্ধারে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল। উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে রাজ্য পুলিশ, সরকারি কর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সদস্যদের নিয়ে গড়া আরও একটি দলও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত কাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎই জলের তোড়ে তিওয়ারে বাঁধের স্লুইস গেট ভেঙে যায়। বেরিয়ে আসা জলের তোড়ে মুহূর্তের মধ্যে খড়কুটোর মতো ভেসে যায় বাঁধ-লাগোয়া অন্তত ১২টি ঘরবাড়ি। তাতে যে কত জন ভেসে গিয়েছেন, সেই সংখ্যাটা স্থানীয় প্রশাসন এখনও জানাতে পারেনি। জলস্রোতে বানভাসি হয়ে পড়ে আশপাশের সাতটি গ্রাম। আবাদি জমিগুলি চলে যায় জলের অনেক নীচে। রাত যত বাড়তে থাকে, ততই বাড়তে থাকে মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা।

Advertisement

গত ৪৮ ঘণ্টা ধরেই একনাগাড়ে প্রবল বর্ষণ হয়ে চলেছে মুম্বই-সহ গোটা মহারাষ্ট্রে। গত কাল মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বইয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার। সাম্প্রতিক অতীতে এত কম সময়ে এতটা বৃষ্টি আর হয়নি মুম্বইয়ে।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আরও পড়ুন- আবার ডুবছে মুম্বই, রাজ্যে মৃত বেড়ে ৩৭​

আরও পড়ুন- বর্ষা এলেই বিপর্যয়, এখনও সেই তিমিরে​

মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস বলেছেন, ‘‘মুম্বইয়ে এত বৃষ্টিপাত অভূতপূর্ব। প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে থানে, পালগড় ও রায়গড়ে। গত ১২ ঘণ্টায় একনাগাড়ে প্রবল বর্ষণে বানভাসি হয়েছে নাসিক, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ-সহ মহারাষ্ট্রের পশ্চিম প্রান্তের এলাকাগুলি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement