প্রতীকী ছবি।
স্কুলে প্রচণ্ড তেষ্টা পেয়েছিল বছর আটেকের এক দলিত পড়ুয়ার। সেই তেষ্টা মেটাতেই স্কুল চত্বরে রাখা একটি পানীয় জলের বালতি থেকে জল খেয়েছিল। বালতি ছুঁয়ে ফেলার ‘অপরাধে’ ওই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের অলওয়ারের এক স্কুলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত পড়ুয়ার নাম চিরাগ। স্কুল চত্বরেই একটি হ্যান্ডপাম্প রয়েছে। সেই হ্যান্ডপাম্পের কাছে রাখা একটি বালতিতে রাতিরাম ঠাকুর নামে অন্য এক পড়ুয়া জল ভরে রেখেছিল। সেই বালতি কেন ছুঁয়েছে, সেই রাগেই চিরাগকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে রতিরামের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রতিরাম উচ্চবর্ণের। চিরাগ দলিত সম্প্রদায়ের। এলাকায় এই বৈষম্য থাকায়, স্কুলেও সেই বৈষম্যের প্রভাব পড়েছে। যার জেরে চিরাগের মতো দলিত সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের সামান্য অপরাধে লঘু শাস্তি পেতে হয়। মার খাওয়ার পর চিরাগ কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। চিরাগের বাবা রতিরামের পরিবারের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের খুন করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
চিরাগের বাবা পান্নালালের আরও অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেন না। তিনিও স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এর পরই থানার অভিযোগ দায়ের করেন চিরাগের বাবা।