গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৩। ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০ হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে হল ১৯,৮৯৩। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ১৭,১৩৫।
রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্রকে ছাপিয়ে আবার শীর্ষে কর্নাটক। গত ২৪ ঘণ্টায় কর্নাটকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৩৬। রাজধানীতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দু’হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৭৩। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, এর পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,৯৩২), কেরল (১,৪৪৯), তামিলনাড়ু (১,২৮৮) ও গুজরাত (১,০৫৯)। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যাও হাজারের কাছাকাছি। পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯১১। লক্ষদ্বীপে আপাতত কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.৯৪ শতাংশ। বুধবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৬৯ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ২০,৪১৯ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ২৪ হাজার ২৯ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলেই ১৬ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মহারাষ্ট্র সাত জন, দিল্লিতে পাঁচ জন, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও হিমাচল প্রদেশে চার জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া উত্তরাখন্ড ও পঞ্জাবে তিন জন, কর্নাটকে দু’জন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, মেঘালয়, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৪৭। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৩। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫১ হাজার ৪০৮ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)