গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। ফাইল চিত্র
শুক্রবার দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২২ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা সামান্য কমে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে হল ২১,৪১১। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ২১,৮৮০। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে হল ৪.৪৬ শতাংশ। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৪২ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। এর মধ্যে কেরলে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলেই ৩২ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে সাত জন, মহারাষ্ট্রে ছয় জন, উত্তর প্রদেশ ও গুজরাতে তিন জন, মেঘালয়, অসম, বিহার, ঝাড়খন্ডে দু’জন এবং দিল্লি, তামিলনাড়ু, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, সিকিম, পুদুচেরী, মিজোরামে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৬০। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৬০।
রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় কেরলকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫১৫। এর পরে রয়েছে কেরল (২,৪৭৭), পশ্চিমবঙ্গ (২,২৩৭), তামিলনাড়ু (২,০৩৩) ও কর্নাটক (১,৫৬২)। লক্ষদ্বীপে এখনও পর্যন্ত কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ২০,৭২৬ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৭৯ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৬ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০১ কোটি ৬৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৭১ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)