১৮ মাসের মধ্যে টিকাকরণের ক্ষেত্রে ২০০ কোটির মাইলফলক পার করল ভারত। ফাইল চিত্র
টানা চার দিন দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই কমে ১৭ হাজারের ঘরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬,৯৩৫। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এখনও শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৫৯। এর পরে রয়েছে কেরল (২,৬০৪), তামিলনাড়ু(২,৩১৬), মহারাষ্ট্র (২,১৮৬) ও কর্নাটক (৯৪৪)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে হল ৬.৪৮ শতাংশ। রবিবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৫.২৩ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। এর মধ্যে কেরলেই মৃত্যু সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ২৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও অসমে তিন জন এবং দিল্লি, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, প়ঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়, মণিপুর, সিকিম ও নাগাল্যান্ডে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। রবিবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এই সংখ্যা ছিল ৪৯। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৬০।
১৮ মাসের মধ্যে টিকাকরণের ক্ষেত্রে ২০০ কোটির মাইলফলক পার করল ভারত। দেশ জুড়ে এখনও পর্যম্ত ২০০ কোটি ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৫ টিকাকরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬,০৬৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫১০ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৭ শতাংশ।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)