ধেয়ে আসছে ফণী। উত্তাল সমুদ্র।
ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। রবিবার ফণীর অবস্থান ছিল চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। সোমবার এর অবস্থান অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ১,০৯০ কিলোমিটার এবং চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্ব থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দূরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। টুইট করে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।” জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সঙ্গে ক্যাবিনেট সচিবকে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও নৌবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করবে ফণী। ১ ও ২ মে ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নানা রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশার সমুদ্রোপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরলের কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে, ৩ মে থেকে ওডিশায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন: ঘনিয়ে আসছে বিপদ, দেখে নিন কতটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে ফণী
আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলার জের, বোরখা ও মুখঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করল শ্রীলঙ্কা
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশা— এই সব রাজ্যে মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল কে জে রমেশ জানিয়েছেন, ২ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে ঠিক কোন সময়, কত গতিতে আছড়ে পড়তে পারে ফণী।