রবিবার গোটা দেশে মেডিক্যালে ভর্তির জন্য নিট পরীক্ষা হলেও ওড়িশাতে তা হবে না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চশিক্ষা সচিব আর সুব্রহ্মণ্যম। তিনি শনিবার টুইট করে বলেন, ‘‘ওড়িশা সরকার এই মুহূর্তে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যস্ত। তাই রাজ্য সরকারের অনুরোধে ওড়িশায় নিট পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ ওড়িশা ছাড়া বাকি রাজ্যে নিট পরীক্ষা যেমন হওয়ার কথা তেমনই হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আজ ফণীর প্রভাবে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেন ক্যাবিনেট সচিব পি কে সিন্হা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সামান্য। অন্য দিকে অন্ধ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাত ছাড়া অন্য কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে সঠিক হিসেব এখনও নাম মিললেও ওড়িশার ক্ষয়ক্ষতি ভাল রকম হয়েছে বলেই খবর। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক টুইট করে সকলের কাছ থেকে অনলাইন সাহায্যের আবেদন করেছেন। ওড়িশা সরকার প্রাথমিক রিপোর্টে কেন্দ্রকে জানিয়েছে, ফণীর কারণে পুরী, ভুবনেশ্বর ও সংলগ্ল এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পরিষেবা
দ্রুত স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ মন্ত্রক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক বিদ্যুতের খুঁটি, দক্ষ শ্রমিক, ডিজেল জেনারেটর দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে। টেলি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবারের মধ্যে আংশিক এবং রবিবারের মধ্যে রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে মোবাইল পরিষেবা চালু করে দেওয়া সম্ভব হবে।
রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কিছু স্থানে পরিকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাণ্ডবে উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাই ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ওই সব অংশে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তবে তিন রাজ্যেই কোনও বন্দর বা তৈল শোধনাগারের ক্ষতি হয়নি।