Fani

২০৫ কিমি বেগে গোপালপুর-চাঁদবালির উপর শুক্রবার আছড়ে পড়তে পারে ফণী

মৌসম ভবন বলছে, শুক্রবার বিকেলে গোপালপুর ও চাঁদবালির উপর ১৮৫-২০৫ কিলোমিটার আছড়ে পড়তে পারে ফণী। অন্য দিকে, আমেরিকান জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, উদয়গিরির উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ফণী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ১১:১০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘর্ণিঝড় ফণী। ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণঝড়টি। মৌসম ভবন বলছে, শুক্রবার বিকেলে গোপালপুর ও চাঁদবালির উপর ১৮৫-২০৫ কিলোমিটার আছড়ে পড়তে পারে ফণী। অন্য দিকে, আমেরিকান জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, উদয়গিরির উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ফণী।

Advertisement

ফণীর প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলের কোথাও কোথাও সেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার ছাড়াতে পারে বলে মৌসম ভবন সূত্রে জানানো গয়েছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে গজপতি, গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কটক, জগত্‌সিংহপুর, জাজপুর, বালাসোর, কেন্দ্রাপাড়া, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানলে। অন্য দিকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বৌধ, কালাহান্ডি, সম্বলপুর, দেবগর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়।

মঙ্গলবার রাত থেকেই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) আকার নিয়েছে ফণী। ওড়িশার আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টের এইচ আর বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওড়িশা উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের দিকে বাঁক নেবে। পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। এমনকি সেটা ১০০ কিলোমিটারও হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সেই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতাতে। ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি, সাগরদ্বীপ-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভোট ‘করাতে’ এ বার বিষ্ণুপুর, দায়িত্ব পেলেন অনুব্রত

আরও পড়ুন: ‘মোদী এক জনকে নিলে লক্ষ নেতা তৈরি করব’, হুঙ্কার মমতার

ফণীর মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।পুরীতে।ছবি: পিটিআই।

অন্য দিকে, আগামী ২ মে-র মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। ২ মে থেকে সমস্ত স্কুল, কলেজগুলো বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ওই সময় রাজ্যবাসীকে ঘরে থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। উপকূলরক্ষীবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সেনা হেলিকপ্টারকে উধ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিমানবাহিনীর ইউনিটও প্রস্তুত রয়েছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪১টি দলকে ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement