—ফাইল চিত্র।
ফণী সংক্রান্ত আপডেট জানতে ফোনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বার দুয়েক ফোন করেও সাড়া মেলেনি বলে রবিবার দাবি করল প্রধানমন্ত্রীর অফিস।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ফণী-পরবর্তী পরিস্থিতি জানতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা না বললেও পিএমও সূত্রের দাবি, এ তথ্য একেবারেই সঠিক নয়। বরং গত কালই মমতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হয় তাঁকে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পিএমও-র এক আধিকারিক এ দিন জানিয়েছেন, শনিবার ফণী সংক্রান্ত আপডেট জানতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দু’বার ফোন যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তবে মমতার কাছ থেকে কোনও বারই সাড়া মেলেনি। তাঁর কথায়, “প্রথম বার ফোন করায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছেন। তিনি ফিরে এলে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের উত্তর দেবেন। তবে তা হয়নি। এর পর আরও এক বার মোদীর সঙ্গে মমতার কথা বলানোর জন্য ফোনকল করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে সে ফোনকলেরও উত্তর দেওয়া হয়নি।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে ফণীর কারণে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নিতে কাকদ্বীপ পৌঁছন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয় তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন না করে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর শর্ত ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী। গত কাল তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিগত দিনে বাংলায় বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রীকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। অন্য রাজ্য সাহায্য পেলেও বাংলা বঞ্চিত থেকেছে। এখন ভোট এসেছে বলে ওঁর টনক নড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে তা-ই রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে সরাসরি রাজ্যপালকে ব্যবহার করছেন।’’
আরও পড়ুন: ‘মোদীর ৫ বছর সবচেয়ে ভয়াবহ, ধ্বংসাত্মক’, বললেন মনমোহন
আরও পড়ুন: গগৈ মামলায় অভিযোগকারিণীর অনুপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতিদের
আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকে ৬ বছর ধরে নিয়মিত ধর্ষণ, দু’বার গর্ভপাত, পুলিশের জালে ধর্ষক বাবা
ফণী-পরবর্তী পরিস্থিতিতে মোদী যদিও টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলার মানুষদের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাই।’ তবে মোদীর সে বার্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে পার্থবাবুর মন্তব্য, “মমতা হলেন এ রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। এই জনমতকে কী করে অগ্রাহ্য করেন তিনি? এটা অত্যন্ত দুঃখজনক!”
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)