বিধ্বস্ত নীলাচল। ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী।
আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল, বিকেল ৩টে নাগাদ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। কিন্তু তার অনেক আগেই সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীতে আছড়ে পড়ে।
ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎহীন ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চল। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উপকূলবর্তী বহু গ্রাম। জল জমে গিয়েছে, ভেঙে গিয়েছে বহু বাড়ি।
পুরীর সাক্ষীগোপালে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ার।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মন্দির সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের মাথায় লাগানো নতুন ধ্বজাটি হাওয়ায় উড়ে যায়।
বিদ্যুৎহীন ওড়িশার পুরী, গোপালপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান হয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁদিপুর, বালেশ্বর, গঞ্জাম, খুরদা, ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লি-সহ একাধিক এলাকার বাড়িঘর। আগে থেকেই পুরীর সমস্ত হোটেল, লজ খালি করে দেওয়া হয়েছিল। কার্যত জনমানবশূন্য ছিল সৈকতশহর। কিন্তু রক্ষা পায়নি স্থায়ী কাঠামো, বাড়িঘর, গাছপালা। ফুঁসছে সমুদ্র। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে।
ফণীর গতিপথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টা শহর পড়বে। পুরীও রয়েছে তার মধ্যে।বাঁধ উপচে ইতিমধ্যেই শহরে জল ঢুকছে। নীচু এলাকাগুলি জলমগ্ন।
তাণ্ডব চলছে ভুবনেশ্বর, কটক, ভদ্রক, চাঁদিপুর, বালেশ্বরের মতো এলাকায়। খুরদা, চাঁদবালি, জগৎসিংহপুরেও প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত চলছে।
ভুবনেশ্বরের ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের টাওয়ার ভেঙে পড়ে ঝড়ের দাপটে। সেখানকার হস্টেলের বেশির ভাগ জানলা-দরজার কাচই ভেঙে গিয়েছে।
ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১১ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা সরকার।
প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইছে উত্তরপ্রদেশের বরসানা, মথুরা, ভরতপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।
অগ্রিম সাহায্য হিসাবে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলির জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
অগ্রিম সাহায্য হিসাবে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলির জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
উপকূল রক্ষী বাহিনীও প্রস্তুত। তবে যে সব এলাকায় পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে, সেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। উপড়ে বা ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
অগ্রিম সাহায্য হিসাবে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলির জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।