ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী আসলে আয়লার ভয়াবহতার কথা মনে করাচ্ছে আরও এক বার। এ বিষয়ে কী বললেন বিশেষজ্ঞরা?
ওড়িশায় ফণী আছড়ে পড়েছে ঠিকই, তাই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে যেতে পারে। তবুও আয়লার চেয়েও এটি বিপজ্জনক। কারণ ফণী অর্থাৎ এই ঘূর্ণিঝড়ের ‘রেডিয়াস’ বা ‘এরিয়া’ অনেকটাই বেশি।
সিনপটিক স্কেল বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের এলাকা অনেকটাই বড়। ঘূর্ণিঝড় নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে থাকার কথা, কিন্তু ফণীর ব্যাস অনেকটাই বড় আয়লার চেয়ে। বললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমস্ফেরিক সায়েন্সের অধ্যাপক সুব্রত কুমার মিদ্যা।
সাধারণ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত যেগুলি হয়, সেগুলির ক্ষেত্রে এলাকাটা অতটা বড় থাকে না। ক্ষয়ক্ষতি ছোট জায়গার মধ্যেই সীমাবদ্ধে থাকে। কিন্তু ফণীর ক্ষেত্রে তা হবে না। প্রভাব থাকবেই ভাল মতো।
ফণী ‘লার্জ স্কেল ফেনোমেনন’, তবে স্থলভাগে এর কিছুটা অংশ রয়েছে, কিছুটা সমু্দ্রে থেকে গিয়েছিল। সে কারণে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করেছিল। কারণ ফণীর ব্যাপ্তিটা বেশি। তাই বেশি জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করেছে এটি। পরে ভয়াবহতা কমলেও ‘এনার্জি’ থাকছেই সে কারণে।
কলকাতা বা রাজ্যের ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ৮০-১০০ কিমি পর্যন্ত হওয়ার কথা। তবে প্রবল শক্তিশালী ফণীর ক্ষেত্রে আশঙ্কা খানিকটা থাকছেই।
আয়লার থেকেও এটি আরও বেশি বিপজ্জনক। কারণ ফণীর বিস্তৃতিটা অনেকটাই বেশি। উপগ্রহ চিত্র থেকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরও সে বিষয়ে নজর রাখছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস এ প্রসঙ্গে বললেন, কলকাতায় ফণীর প্রভাবে সারাদিন বৃষ্টিপাত হবে। হাওয়ার গতিবেগও বাড়বে রাতের দিকে।
আয়লার থেকে এটি আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারত, তার কারণ ফণী বেশি শক্তিশালী। তবে আয়লা সরাসরি আঘাত হেনেছিল, যেটা ফণী করেনি।
ফণী যে হেতু ওড়িশা হয়ে বাংলার দিকে এগচ্ছে, তাই পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার সময় শক্তি খানিকটা কমে যাবে। ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও সে ক্ষেত্রে খুব বেশি হওয়ার কথা নয়।