ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ তাণ্ডবে বিধ্বস্ত গুজরাত। ছবি: পিটিআই।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়েছিল ‘বিপর্যয়’। তার পর মাঝরাতে কিছুটা শক্তি কমিয়ে সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে শুক্রবারও তাণ্ডব চালাচ্ছে ‘বিপর্যয়’। তার সঙ্গে সমানতালে চলছে অতি ভারী বৃষ্টি।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, শুক্রবার সকালের দিকেও দাপট থাকবে ‘বিপর্যয়ের’। সেটি দুপুরের দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। তার পর দক্ষিণ রাজস্থানে ঢুকবে সন্ধ্যার দিকে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিলোমিটার। তার পর সেটি আরও শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেবে। এর প্রভাব পড়বে জোধপুর, জয়সলমের, পালি এবং সিরোহী জেলায়। রাজস্থানের এই জেলাগুলিতে শুক্রবার অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন মৌসম ভবন।
এ ছাড়াও রাজসামন্দ, দুঙ্গারপুরে শুক্র এবং শনিবারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সমুদ্রপথে নয়, এ বার পুরোপুরি স্থলপথ দিয়েই রাজস্থানের দিকে এগোচ্ছে ‘বিপর্যয়’। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজস্থানের জালোর এবং বারমের জেলায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রাজস্থানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে জালোরে ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির জন্য জালোর এবং বারমেরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, জয়সলমের, বারমের, জালোর এবং জোধপুরে বৃষ্টির সঙ্গে ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। শনিবার একই পরিস্থিতি থাকবে জোধপুর, উধয়পুর এবং অজমেরে।
রাজ্য আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘বিপর্যয়ের’ জেরে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থানে ১৮ জুন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রাজস্থানে ১৬-১৯ জুন অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় মুখমন্ত্রী অশোক গহলৌত বৃহস্পতিবারই রাজ্য প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজস্থান এই দুর্যোগ সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত। রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।