ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। সংগৃহীত
গত কালের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে এ দিনও কার্ফু বলবৎ রইল রাজস্থানের করৌলীতে। ওই ঘটনার জেরে ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত কাল করৌলীতে হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে হওয়া এক মোটরসাইকেল মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। তার জেরে গোষ্ঠী সংষঘর্ষ শুরু হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি দোকান ও বাইক। ঘটনায় ৩৫ জন আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে করৌলী জেলা হাসপাতাল ও এক জনকে জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছাড়া পেয়েছেন। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে পুলিশের একটি দল।
ঘটনার পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি এম এল লাথেরের সঙ্গে কথা বলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র ও মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জয়পুর থেকে করৌলীতে চার জন আইপিএস অফিসারকে পাঠানো হয়।
মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ জন ডেপুটি সুপার স্তরের অফিসার-সহ ৬০০ জন পুলিশকে। গহলৌত এক
বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে ও উন্নয়নের জন্য হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ ও অন্য সব সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাজ করতে হবে।’’
বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া ঘটনার জন্য রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বক্তব্য, ‘‘ঘৃণার মানসিকতাকে রাজস্থানে শিকড় তৈরি করতে দেওয়া যাবে না।’’