Madhya Pradesh

Madhya Pradesh: চার বছর আগে তৈরি হওয়া বাঁধে ফাটল! ৩,০০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে

২০১৮-য় বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস জেতার পরে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ করম বাঁধ-সহ বিভিন্ন বরাত-অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২২ ২২:৩৯
Share:

বর্ষায় ভেঙেছে করম বাঁধের পাড়। ছবি: সংগৃহীত।

ভরা বর্ষা আসতেই ফাটল ধরল মাত্র চার বছর আগে তৈরি হওয়া বাঁধে! আর তার পরেই বিজেপি জমানায় নির্মিত সেই করম বাঁধ নির্মাণের বরাত দেওয়ার ঘটনায় ফের দুর্নীতির অভিযোগ মাথা চাড়া দিল মধ্যপ্রদেশে।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের আমলে ওই বাঁধ নির্মাণে ই-টেন্ডারিংয়ের সময় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। ২০১৮-য় বিধানসভা ভোটে জেতার পরে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ করম বাঁধ-সহ বিভিন্ন বরাত-অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির ‘তথ্য’ উঠে এসেছিল বলে সে সময় সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল।

কিন্তু ২০১৯ সালে জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কেরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ১৫ মাসের কমলনাথ সরকারের পতন ঘটে। এর পরেই তদন্তের বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের দাবি, শিবরাজ জমানায় মোট তিন লক্ষ কোটি টাকার সরকারি বরাতের ই-টেন্ডারে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ই-টেন্ডারের ‘লগ ইন’ প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্বে থাকা অসমো আইটি সলিউশলন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার কর্তাদের সহায়তায় বেআইনি ভাবে ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে বেআইনি ভাবে বরাত বণ্টনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন:

ই-টেন্ডার সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে বছর কয়েক ধরে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্তও করছে। পৃথক তদন্ত করছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশও। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন জনসম্পদমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের দুই সহকারীকে করম-সহ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ সংক্রান্ত বরাত বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে কয়েক বছর আগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

শিবরাজ জমানায় করম বাঁধ নির্মাণের বরাত প্রথমে গুজরাতের একটি নির্মাণ সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পরে ২০১৮-র গোড়ায় বরাত দেওয়া হয় দিল্লির একটি সংস্থাকে। তারা গ্বালিয়রের একটি সংস্থাকে বাঁধের একাংশ নির্মাণের কাজে নিয়োগ করে। গত ১১ অগস্ট সেই অংশে ফাটল ধরায় তড়িঘড়ি সরানো শুরু হয় আশপাশের ১৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement