ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিলেও ভোটযন্ত্র হ্যাক করার চ্যালেঞ্জ নেবে না সিপিএম। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আজ এ কথা জানিয়েছেন।
কিছু দিন আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ইভিএম হ্যাক করার চ্যালেঞ্জ যে দুটি দল গ্রহণ করেছে, তারা হল সিপিএম ও এনসিপি। আরজেডি চ্যালেঞ্জ নিলেও তাদের আবেদনপত্র কমিশনে পৌঁছতে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায়। উত্তরপ্রদেশের ভোটের পরে বিরোধী দলগুলি ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঠিকই, কিন্তু ভোটযন্ত্র হ্যাক করে দেখাতে কমিশনের চ্যালেঞ্জের মুখে প্রায় সব দলই পিছিয়ে এসেছে। এ দিন সীতারামের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কার্যত বিরোধীদের আর একটি উইকেটও পড়ে গেল। সীতারাম বলেন, সিপিএম কমিশনে তিন জন বিশেষজ্ঞকে পাঠাবে। কিন্তু তাঁরা ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করবেন না। বরং ইভিএমকে কী করে আরও ভাল ভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটাই জানাবেন তাঁরা। সিপিএম নেতার ব্যাখ্যা, দল সব সময়েই ইভিএমের সঙ্গে পেপার ট্রেলের উপর জোর দিয়ে এসেছে। কমিশনের সামনে সে সব কথাই তুলে ধরা হবে।
তবে ইভিএম নিয়ে সিপিএমের আশঙ্কা যে দূর হয়ে গিয়েছে, এমন নয়। দলের এক নেতার কথায়, ইভিএমের চিপগুলি আসে জাপান থেকে। সেই চিপের কোড কার দখলে থাকে, তা নিয়ে সংশয় তো রয়েইছে। কিন্তু চিপ-রহস্য জানতে না পারলে হ্যাকও করা যাবে কী ভাবে! ফলে সংশয় দূর করতে পেপার ট্রেলই একমাত্র ভরসা। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দল নিজেদের আশঙ্কারও কথা জানাবে, আবার ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরানোর উপরেও জোর দেবে।
আরও পড়ুন: গরু পাচার নিয়ে নজরদারির বার্তা