CPM

দিল্লিতে কেরলের ধর্না ৮ই, দেশ জুড়ে পথে সিপিএম

কেরলের বাম সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধ সাধছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৩
Share:

সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিরুঅনন্তপুরমে ই এম এস অ্যাকাডেমিতে। —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা দ্রুত সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। সেই সঙ্গেই বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্য’ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে ফেলার অভিযোগে দেশ জুড়ে কর্মসূচি নেওয়ার সিদ্ধান্ত উঠে এল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে।

Advertisement

কেরলের বাম সরকারের অভিযোগ, রাজ্যের আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধ সাধছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। রাস্তায় নেমে কার্যত ‘রাজনৈতিক নেতা’দের মতো ব্যবহার করছেন। এর প্রতিবাদে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে সকল বাম বিধায়ক দিল্লিতে ধর্না দেবেন। তিরুঅনন্তপুরমে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ওই দিন কেরলের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সব রাজ্যে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে।

রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস-সহ সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টিও দ্রুত চূড়ান্ত করে ফেলার কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ‘একা লড়া’র কথা ঘোষণার পরে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা সহজ হবে বলে মনে করছে সিপিএম। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুতে গত নির্বাচনে বামেদের জেতা চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন ছাড়তে হতে পারে কমল হাসনের দলের জন্য। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে যা কথা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে সিপিএম একটি আসন পেতে পারে। আরও একটি আসন পাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিধানসভা নির্বাচনে জোট না হলেও রাজস্থানে সিপিএম লোকসভায় জোট বেঁধে একটি আসনে লড়তে আগ্রহীচ তবে কংগ্রেসের তরফে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখা যায়নি বলেই সিপিএম সূত্রের বক্তব্য।

Advertisement

তিরুঅনন্তপুরমে মঙ্গলবার তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শেষে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘বিজেপি নিজেরাই জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। তাই কখনও ‘চারশো পার’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, কখনও অন্য জোটের শরিক ভাঙানো হচ্ছে!’’

এরই পাশাপাশি রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে যে ভাবে ধর্ম, জাতপাতের রাজনীতি ফের সামনের সারিতে চলে আসছে, তার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের কথাও বলেছেন ইয়েচুরিরা। কলকাতায় এ দিনই গান্ধীজির মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই নিয়ে সরব হয়েছেন বামপন্থী নেতারা। কেরলে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থাকায় সিপিএমের শীর্ষ নেতারা বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনের অনুষ্ঠানে থাকতে না পারলেও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহু, কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, রাজ্য কমিটির সদস্য তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ বাম শরিক দলের নেতারা।

মৌলালি যুব কেন্দ্রে এ দিনই ‘বিপন্ন গণতন্ত্র, জনজীবন, ধর্মনিরপেক্ষতা বিপর্যস্ত’ শীর্ষক আলোচনা-সভায় ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য। দেশ জুড়ে যে ভাবে ধর্মের নামে রাজনীতি হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির তীব্র বিরোধিতা করেন বক্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement