দিল্লিতে একটি স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধনে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট এবং এ বিজয়রাঘবন। নিজস্ব চিত্র।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরোয়া না করে কেন্দ্রীয় সরকার যে ভাবে চলছে, সেই অভিযোগ সামনে রেখে জাতীয় স্তরে প্রতিবাদের জন্য অন্যান্য বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলবে সিপিএম। এই বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি চূড়ান্ত করার আগে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেওয়া হবে বলেই সিদ্ধান্ত হল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের বৈঠকে। অন্য দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব নেবেন মূলত দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিই।
সিপিএমের অভিযোগ, আরএসএস-বিজেপি তাদের পরিকল্পনার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দফতর ও সংস্থাকে ব্যবহার করছে। কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে সে রাজ্যের বাম সরকারের সংঘাত এখন তুঙ্গে। রাজ্যপাল একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শো-কজ় করেছেন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কে এন বালগোপালের অপসারণ দাবি করেছেন। রাজ্যপালের এমন ভূমিকার প্রতিবাদে জাতীয় স্তরে সরব হওয়ার দাবি তুলেছিল কেরল রাজ্য সিপিএম। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছেন, রাজ্যপালকে নিয়ে ওই বিতর্কের পাশাপাশি সব রাজ্যে এনআইএ-র শাখা খোলা, সব রাজ্যে পুলিশের একই উর্দি চালু করতে চাওয়া বা হিন্দি ভাষা ‘চাপিয়ে দেওয়া’র মতো বিষয়গুলি জুড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সার্বিক মনোভাবের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করা আরও যুক্তিযুক্ত হবে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের শেষ দিনে সোমবার জবাবি ভাষণে ইয়েচুরি বলেছেন, আরএসএস-বিজেপির মনোভাব গণতন্ত্র, সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে অপসারণ করে দেশে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করাই বিরোধীদের সামনে এখন প্রধান লক্ষ্য। সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে দিল্লিতে বড় কর্মসূচির পরিকল্পনাও হচ্ছে।
দলের পলিটবুরোয় নতুন সদস্য হিসেবে কেরল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দন মাস্টারকে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তই অনুমোদিত হয়েছে এ বারের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। কোডিয়ারি বালকৃষ্ণনের মৃত্যুর ফলে যে জায়গা শূন্য হয়েছিল, সেখানেই নেওয়া হয়েছে গোবিন্দনকে। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথমে রাজ্য সম্পাদক এবং এখন পলিটবুরোর সদস্য হিসেবে দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই তা পালন করা হবে।’’