CPM

‘হিজাব ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যোগীর পোশাক?’ সংসদে প্রশ্ন বাম সাংসদের

সিপিএম সাংসদের প্রশ্ন, হিজাব পরা যদি ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী হয় তাহলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় ধর্মীয় পোশাক পরে থাকেন, তখন কি তা ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী হয় না?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৩
Share:

স্কুলে হিজাব পরা ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী হলে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মীয় বেশ কী? — ফাইল ছবি।

হিজাব প্রসঙ্গ উঠল রাজ্যসভায়। সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস শুক্রবার সংসদের উচ্চ কক্ষে দাবি করেন, কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব বাতিলের ফরমান জারির পর সে রাজ্যে লক্ষাধিক মুসলিম ছাত্রী সরকারি কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

Advertisement

সিপিএম সাংসদের দাবি, কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে। কিন্তু এ ভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা লক্ষণীয় হারে কমে গিয়েছে। আর এখানেই আরও একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন ব্রিটাস। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে হিজাব মামলায় কর্নাটক সরকার হলফনামা দিয়ে দাবি করেছে হিজাবের কারণেই কলেজ পড়ুয়াদের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ বেশভূষা প্রচলন করা যাচ্ছে না। এটা একদমই ন্যায্য কথা। অথচ, ভারতের সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ধর্মীয় বেশভূষাই পরে থাকেন। তাতে কারও সমস্যা হচ্ছে না।’’

রাজ্যসভায় এই বক্তব্যের পর সেই ভিডিয়ো টুইটও করেন তরুণ বাম সাংসদ। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘হিজাব ধর্মনিরপেক্ষ বেশভূষার পরিপন্থী কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ধর্মীয় পোশাক পরে থাকেন, তখন সেটা ঠিক আছে!’’

Advertisement

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে কর্নাটকে বিক্ষোভ হয়েছিল। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ছিল, হিজাব পরে স্কুল-কলেজে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেলে নামাবলী গায়ে দিয়েও আসার অনুমতি দিতে হবে। গোলমালের জল গড়ায় আদালতেও। পরবর্তী কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই প্রেক্ষিতেই ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পোশাক নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন তরুণ বাম নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement