ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে বসে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতো সিপিআই-ও দুষল আইএসএফ-কে জোটে শামিল করার সিদ্ধান্তকে। সিপিআই নির্বাচনী পর্যালোচনায় বলেছে, “আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অতীত ও সংগ্রামের নিদর্শনহীন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করে, অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠনকে মানুষ ভরসা করেননি, ভাল চোখেও নেননি।”
সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেছিলেন, বাম নেতারা সংযুক্ত মোর্চার সরকার গঠনের ডাক দিয়ে ভুল করেছিলেন। একই ভাবে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরে সিপিআইয়েরও বক্তব্য, তৃণমূল, বিজেপির মেরুকরণের বিপরীতে সংযুক্ত মোর্চা কোনও বিকল্প দিতে পারে বলে মানুষ মনে করেননি। আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেন, ‘‘বামেদের শূন্য হাতে ফেরার মতো রাজনৈতিক ভরাডুবি আমাদের লাগাতার সাংগঠনিক ক্ষয়ের দিকেই আঙুল তুলছে।’’
ভোট-পর্বে সিপিএম নেতারা ফের বলছিলেন, বামেরা ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্পায়ন হবে। নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলেও অভিযোগ তোলেন। সিপিআইয়ের রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে, যে ভাবে নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরের ভুলকে স্বীকার না-করে প্রাসঙ্গিক করে তোলার চেষ্টা হয়েছে, এর পাশাপাশি দিদিভাই, মোদীভাই, বিজেমূল এবং চটুল হালকা গানকে প্রচারের মধ্যমণি করা হয়েছে, এ সব মানুষ আদৌ ভাল ভাবে নেননি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমরা যে সত্যিই বিজেপিকে প্রতিরোধ করতে চাই, বামপন্থীদের প্রচারের ধরন ও আচরণে সেটা প্রতিফলিত হয়নি মানুষের মনে।”