কানহাইয়া কুমার কি দলবদল করবেন? ফাইল ছবি।
রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, কানহাইয়া কুমার কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? বৃহস্পতিবার সেই জল্পনায় জল ঢাললেন সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। দিল্লিতে দলের সদর দফতর অজয় ভবনে কানহাইয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন, ‘‘কানহাইয়া আমাদের জাতীয় কর্মসমিতির সবচেয়ে কমবয়সি সদস্য। কানহাইয়া কুমার পার্টির সম্পদ।’’
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া। যা নিয়ে তাঁর দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। গত লোকসভা ভোটে বেগুসরাইয়ের সিপিআই প্রার্থী নিজে মুখে কখনওই এ কথা স্বীকার করেননি। আবার এই দাবি অস্বীকার করতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এর ফলে সিপিআই দলের একটি অংশে অসন্তোষ বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতরে সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা মুখোমুখি কথা বলেন কানহাইয়ার সঙ্গে। দু’জনের বৈঠক শেষে রাজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি নিজে এই গুজবের ব্যাপারে কানহাইয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ওঁর জবাব শোনার পর আপনাদের কাছে এটুকুই বলতে পারি, এইসব গুজবের নিন্দা করার ভাষা নেই। কানহাইয়া আমাদের জাতীয় কর্মসমিতির কনিষ্ঠতম সদস্য এবং দলের সম্পদ।’’
ডি রাজা আরও জানান, কোনও রাজনৈতিক নেতা অন্য দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এতে কোনও সমস্যা নেই। তার পরই সিপিআই শীর্ষ নেতার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে কানহাইয়ার বৈঠক হলেও কি আপনারা একই গুজবে বিশ্বাস রাখবেন?’’
২০১৯ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে পা রাখেন জেএনইউএসইউ-এর প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া। বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু বিজেপির গিরিরাজ সিংহের কাছে হেরে যান। তার পরবর্তী সময়ে কানহাইয়ার জন-গণ-মন যাত্রা বিহারে সাড়া ফেলেছিল।
সম্প্রতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কানহাইয়া কুমারের সাক্ষাতের পর তাঁর দলবদলের জল্পনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ডি রাজা সেই জল্পনায় জল ঢাললেও কংগ্রেসের একটি অংশ এখনও আশাবাদী। তাঁদের বিশ্বাস, একদিন না একদিন কানহাইয়া ঠিকই কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কানহাইয়ার দলবদলের সম্ভাবনা খারিজ করেছেন সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বমও। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই অজয় ভবন থেকে কানহাইয়া ফোন করেছিল। ও কোথাও যাচ্ছে না। বামপন্থী রাজনীতির উপর এখনও কানহাইয়ার বিশ্বাস অটুট।’’ কিন্তু প্রশ্ন হল, কানহাইয়া কেন প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না?