COVID Vaccine

দ্বিতীয় ডোজ় আজ থেকে, এ বার লক্ষ্য অ্যান্টিবডির আয়ু বৃদ্ধি

প্রতিষেধক নিলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তা সর্বাধিক আট মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে বলে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:২১
Share:

যাঁরা প্রথম বার প্রতিষেধক নিচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই তার দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতেই হবে। ছবি পিটিআই।

প্রতিষেধক নিলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে, তা সর্বাধিক আট মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে বলে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কী ভাবে প্রতিষেধকের কার্যকারিতার অর্থাৎ অ্যন্টিবডির মেয়াদ আরও বাড়ানো যায়, সেই গবেষণায় এখন মন দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দিল্লি এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া আজ এই কথা জানিয়েছেন। দেশে টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি। এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম দিন যাঁরা প্রতিষেধক নিয়েছিলেন, আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতে হবে তাঁদের।

Advertisement

কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য গুলেরিয়া এ দিন সাধারণ মানুষের কোভিড ও প্রতিষেধক সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে টুইটারকে বেছে নিয়েছিলেন। হ্যাশ ট্যাগ ভ্যাকসিন বার্তা নামে ওই প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণ মানুষের সব থেকে বেশি জানার আগ্রহ ছিল প্রতিষেধক নেওয়া ও তার কার্যকারিতার নানা দিক নিয়ে।

গুলেরিয়া মনে করিয়ে দেন, যাঁরা প্রথম বার প্রতিষেধক নিচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই তার দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতেই হবে। নয়তো শরীরে প্রতিষেধক কার্যকর হবে না। প্রথম প্রতিষেধকের ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় প্রতিষেধক দেওয়া হয়। সেই দ্বিতীয় প্রতিষেধক নেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় শরীরে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হবে। ওই অ্যান্টিবডি শরীরে অন্তত আট মাস সক্রিয় থেকে করোনা সংক্রমণ রোখার কাজে সাহায্য করবে। গুলেরিয়ার দাবি, অ্যান্টিবডির সক্রিয়তার মেয়াদ কী ভাবে বাড়ানো যায়, সে জন্য গবেষণা চলছে।

Advertisement

বর্তমানে দেশে স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার (সাফাই কর্মী, পুলিশ, সেনা, আধাসেনা)-দের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। গুলেরিয়ার দাবি, মার্চ মাস থেকে প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। বয়স্কদের পাশাপাশি কুড়ি থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে যে ব্যক্তিরা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাদেরও টিকাকরণ শুরু হবে আগামী মাস থেকেই। গুলেরিয়া বলেন, “বয়স্ক হলেও নিরোগ ব্যক্তিদের তুলনায় যাঁরা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন অথচ বয়স কম, তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মূলত মৃত্যুহার কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement