—প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের প্রথম ভারতীয় টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ হাতে আসতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর এক উচ্চপদস্থ বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআরের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে কোভ্যাক্সিন। ভারত বায়োটেক গত মাসে বলেছিল, আগামী বছরের জুন নাগাদ কোভ্যাক্সিন বাজারে ছাড়ার মতো জায়গায় পৌঁছতে পারে তারা। কিন্তু সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথোপকথনে আইসিএমআরের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য-বিজ্ঞানী রজনী কান্ত আজ বলেছেন, ‘‘টিকাটি ভাল কার্যকারিতা দেখিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকে, ফেব্রুয়ারি বা মার্চে একটা কিছু পাওয়া যাবে।’’ আইসিএমআরের নীতি, গবেষণা-ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও সমন্বয় সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিজ্ঞানীর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বাজারে এসে যাবে ভারতীয় টিকা।
গত ২২ অক্টোবর সম্ভাব্য টিকাটির তৃতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালানোর ছাড়পত্র পেয়েছিল ভারত বায়োটেক। রজনী কান্ত জানান, প্রাণীদেহে প্রয়োগ এবং প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সম্ভাব্য টিকাটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত টিকার সুরক্ষার দিকটি নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষের আগেই ওই টিকা দেওয়া হবে কি না, তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উপরে নির্ভর করছে বলে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘হয়তো কিছু ঝুঁকি রয়েছে। আপনি ঝুঁকি নিতে চাইলে টিকা নিতে পারেন। সরকার মনে করলে জরুরি পরিস্থিতিতে টিকা দেওয়ার কথা ভাবতে পারে।’’ যদিও এই বিষয়ে ভারত বায়োটেকের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। ভারতে ওই টিকা উৎপাদন ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা আশাবাদী, আগামী বছরের জানুয়ারিতে কোভিশিল্ডের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হলেই সেটি ভারতে পাওয়া যাবে। তবে রাজধানীতে কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তুষ্ট দিল্লি হাইকোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চের আশঙ্কা, শীঘ্রই দেশের ‘করোনা-রাজধানী’ হয়ে উঠতে পারে দিল্লি।