ছবি: রয়টার্স।
প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে আগামী বছরের দ্বিতীয় দফাতেই করোনার প্রতিষেধক ‘কোভ্যাক্সিন’ বাজারে আনবে বলে জানাল ‘ভারত বায়োটেক’। সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, আপাতত মানবদেহের উপরে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের উপরে নজর রাখছেন তাঁরা। ‘ভারত বায়োটেক’-এর আন্তর্জাতিক এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ বলেছেন, ‘‘চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল থেকে পাওয়া তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করার পরে আমরা যদি অনুমোদন পাই তবে ২০২১ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ প্রতিষেধক প্রস্তুত হয়ে যাবে।’’
সাই জানিয়েছেন, ড্রাগ কন্ট্রোল জেলারেল অব ইন্ডিয়া-র ছাড়পত্র পাওয়া মাত্রই তাঁরা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ১৩ থেকে ১৪টি রাজ্যের ২৫ থেকে ৩০টি অঞ্চলে ১২টি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হবে। প্রতি হাসপাতালে ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপরে প্রয়োগ করা হবে। দেহে অন্য কোনও জটিল অসুখ নেই এমন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সিদের উপরে করা হবে পরীক্ষা। করোনা প্রতিরোধে কার্যকর টিকা আনার এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছেন তাঁরা। ওই কর্তার দাবি, তাঁদের প্রতিষেধক অন্ততপক্ষে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে, ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৯৬৩ জন সংক্রমিত হওয়ায় দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছল আজ। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে করোনায় সুস্থতার হার ৯১.৫ শতাংশ। পাশাপাশি, গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতে প্রতি ১০ লক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে কম। এবং ধারাবাহিক ভাবে তিন দিন সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ৬ লক্ষের নীচে রয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। নয়া সংক্রমণের পাশাপাশি করোনায় মৃতের সংখ্যাও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কমেছে। সেপ্টেম্বরে যেখানে মোট আক্রান্ত ছিল ২৬ লক্ষের বেশি সেখানে অক্টোবরে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮.৩ লক্ষ। একই ভাবে, সেপ্টেম্বরে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৩ লক্ষ ২৫৫ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, অক্টোবরে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৩ হাজার মানুষের।
আরও পড়ুন: মোদীর ‘যুবরাজ’ কটাক্ষে পাল্টা নিশানা তেজস্বীর
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাবে তামিলনাড়ুর স্কুল-কলেজ। নবম শ্রেণি থেকে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে। ১০ নভেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হবে চিড়িয়াখানা, বিনোদন পার্ক, সংগ্রহশালা। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠানেরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে ১৬ নভেম্বর থেকে। ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হলে আজ থেকে জিমে যোগ দিতে পারবেন। বিয়ে ও শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে ১০০ জন অতিথি ডাকা যাবে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে কিছু স্কুলে ২০% ফি হ্রাস
এ ছাড়া, ছবির শুটিংয়ের সেটে কর্মী সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। যদিও সরকার জানিয়েছে, কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে এই ছাড়া দেওয়া হবে না। সোমবার থেকে চেন্নাইয়ের কোয়াম্বেদু বাজারে ফল বিক্রি শুরু হবে। মে মাসে এই বাজার থেকেই সাড়ে তিন হাজার জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর থেকেই এই বাজার বন্ধ করা হয়েছিল। রেস্তরাঁগুলি রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।