নরেন্দ্র মোদী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।
গত বছর বিভিন্ন রাজ্যর বহু হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তাই হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নজর দিতে হবে রাজ্যগুলিতে। মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর অনুরোধও তিনি করেন।তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কথায় মান্যতা দিয়ে কিছু রাজ্য পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমিয়ে মানুষের সুবিধা করেছে। কিন্তু আমি জানি না পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ কেন এই ভ্যাট কমায়নি।’’ তবে তিনি কারও সমালোচনা করার জন্য এই কথা বলছেন না বলেও উল্লেখ করেন মোদী।
মুখ্যমন্ত্রীদের মোদী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। কেন্দ্র-রাজ্যের তাল মেল আগের থেকেও আর ভাল হওয়া প্রয়োজন। করোনা যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর ফলে সাপ্লাই চেন প্রভাবিত হয়েছে। তাই পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়েছে।
আগের পরিস্থিতির তুলনায় হাসপাতালগুলিতে শয্যাসংখ্যা এবং অক্সিজেন মজুতের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যাতে রোগীদের কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে বিশেষ সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
করোনা পরীক্ষার পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিনের গঠনসজ্জা জানা গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার নয়া রূপগুলিকে চিহ্নিত করতে এই পদক্ষেপ করা খুবইপ্রয়োজনীয়।
প্রচুর পরিমাণ করোনা পরীক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি কোথায় কোথায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে সেই দিকেও নজর রাখার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের করোনা বিশেষজ্ঞেরাও দেশ এবং সারা বিশ্বের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। তাঁদের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের পরামর্শ মেনে কাজ করতে হবে। আগের রণকৌশল মেনে সংক্রমণকে শুরুতেই বিনাশ করার চেষ্টা করতে হবে।
মোদী বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সময় দৈনিক সংক্রমণ তিন লাখ ছাড়িয়েছিল। কিন্তু সেই সময়েও প্রতিটি রাজ্য খুব ভাল ভাবে পরিস্থিতি সামলেছে। ভবিষ্যতেও একই কৌশল মেনে কাজ করতে হবে। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’’
আমাদের দেশে দীর্ঘ দিন পরে স্কুল খুলেছে। কিন্তু তার মধ্যেই করোনার সংক্রমণ বাড়াতে অভিভাবকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন স্কুলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবরও উঠে এসেছে। কিন্তু পড়ুয়াদেরও টিকাকরণের কাজ অনেক এগিয়েছে। তবে পড়ুয়াদের টিকাকরণের কাজ আরও দ্রুত এগোতে হবে। তবেই পরিস্থিতি সামলানো আরও সহজ হবে। বৈঠকে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী উল্লেখ করেন, ভারতের ৯৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষদের করোনার প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাই করোনা প্রতিরোধের এক মাত্র উপায়।
মোদী বলেন, ওমিক্রন এবং এর নয়া রূপগুলি ইউরোপে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা সারা বিশ্ব দেখেছে। ভারতে তুলনামূলক ভাবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও কিছু কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তাই নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। করোনার বিপদ এখনও কেটে যায়নি। জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বেলা ১২ টায় ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তিনি। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির থাকতে দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই বার্তা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে।
রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পঞ্জাব-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার আগে থেকেই পদক্ষেপ করে সংক্রমণের গতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দিল্লিতে প্রতিদিনই দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডি টপকাচ্ছে।