Coronavirus

পুজোয় রামকৃষ্ণ মিশনে বসবে ‘শাইকোকেন’

কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনের শিশুমঙ্গল হাসপাতালে তা লাগানো হয়েছে। এটি ১ হাজার বর্গফুট এলাকায় এবং ৩০ মিটার উচ্চতায় করোনাপ্রুফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৪০
Share:

শাইকোকেন যন্ত্র হাতে স্বামী গণধীশানন্দ। নিজস্ব চিত্র

দর্শক টানার প্রতিযোগিতায় নেই। তবু শিলচরে রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমেই দর্শনার্থীর ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। এ বারও এর ব্যতিক্রম হবে না। করোনার বছরে পুষ্পাঞ্জলি, খিচুড়ি প্রসাদ নেই জেনেও দর্শনার্থীর আকর্ষণ কেড়ে নেবে ‘শাইকোকেন’। শিলচরে কান পাতলেই শোনা যায়, করোনা-নাশক কী একটা মেশিন এনেছে রামকৃষ্ণ মিশন! তরুণ থেকে বৃদ্ধ, সবার আগ্রহ মেশিন দেখার।

Advertisement

মিশনের সম্পাদক স্বামী গণধীশানন্দ মহারাজ বলেন, মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য অধিকাংশ পুণ্যার্থী মিশনকে বেছে নেন। অঞ্জলি সেরে একেবারে খিচুড়ি প্রসাদ নিয়ে ফেরেন সবাই। করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এ বার শিলচরের মিশনে না হবে আগের মত পুষ্পাঞ্জলি, না খিচুড়ি প্রসাদ। সে জায়গায় পুণ্যার্থীরা নিজেরাই ফুল-বেলপাতা মায়ের উদ্দেশে নিবেদন করবেন। আর বেরোনোর পথে দেওয়া হবে আস্ত ফল-প্রসাদ আর বোঁদে। তবু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় শহরে এই বছর পুজো অনেক কম। তাই অধিকাংশ দর্শনার্থী মিশনে আসবেন।

আর শাইকোকেন? গণধীশানন্দ মহারাজের কথায়, করোনার ব্যাপারে তাঁরা বেশ সতর্ক। অন্য বছর পুজোর প্রতিদিন ১১-১২ হাজার পুণ্যার্থী পুষ্পাঞ্জলি দেন। এই বছর তা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে। বিশাল জনসমাগম কি শুধু মাস্ক আর পারস্পরিক দূরত্ব মানলেই নিরাপদ থাকবে? ওই নিয়ে চিন্তার মধ্যেই তাঁরা জেনে যান শাইকোকেনের কথা। বিজ্ঞানী রাজা বিজয়কুমার এর উদ্ভাবক। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠান ১৫ অগস্ট উৎপাদন শুরু করেছে। কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশনের শিশুমঙ্গল হাসপাতালে তা লাগানো হয়েছে। এটি ১ হাজার বর্গফুট এলাকায় এবং ৩০ মিটার উচ্চতায় করোনাপ্রুফ। তা থেকে বিচ্ছুরিত ইলেকট্রন কণা নিজের পরিসীমায় করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে পেলেই নিঃশেষ করে দেয়। চারটি শাইকোকেন কিনে নিয়েছে শিলচর মিশন৷ বেলুড় মঠ নিয়েছে ২০টি। দেহরাদুন মিশনেও লাগানো হচ্ছে এই করোনা-নাশক মেশিন। শিলচরে কিনে আনা শাইকোকেনগুলি দেখান গণধীশানন্দ মহারাজ।

Advertisement

আরও পড়ুন: উৎসবের আগে ‘করোনা-ক্লান্তি’ ডাকছে বিপদ​

গণধীশানন্দ মহারাজের কথায়, এর পরও অবশ্য সতর্কতায় খামতি রাখছেন না তাঁরা। ঠিক মন্দিরে ঢোকার মুখে বিশাল আকারের নৌকার মতো পাত্র থাকবে। সেখানে জীবাণুনাশক জল রাখা হবে। প্রতি ঘণ্টায় ওই জল বদলানো হবে। তাতে পা ডুবিয়েই এগোবেন সবাই। থাকবে থার্মো-স্ক্যানার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement