নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
অতিমারির অভিঘাতে সঙ্কটে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আট দফা দাওয়াইয়ের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানালেন কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের সাহায্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানো হবে।
গত বছর মে মাসে করোনা আবহে ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আর্থিক অনুদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল ‘গরিব কল্যাণ যোজনা’। নির্মলা সোমবার জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত গরিব পরিবারগুলিকে খাদ্য দিতে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। আগামী দিনেও এই কর্মসূচি জারি থাকবে।
পাশাপাশি, পুষ্টিযুক্ত খাদ্য সরবরাহের জন্য পৃথক ভাবে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন তিনি। গত বছর প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা’র সময়সীমাও ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অতিমারি আবহে কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা সোমবার জানিয়েছেন নির্মলা।
কোভিড পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পক্ষেত্রগুলির জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্যারান্টি যোজনার কথাও ঘোষণা করেছেন নির্মলা। এই কর্মসূচিতে বার্ষিক ৭.৯৫ শতাংশ সুদে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে শিল্পসংস্থাগুলি। গ্যারেন্টার হিসেবে থাকবে কেন্দ্র। সাধারণ ভাবে সুদের হার হয় ৯ থেকে ১০ শতাংশ।
নির্মলা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ার জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া অন্য শিল্পক্ষেত্রগুলির জন্য ৮.২৫ শতাংশ হারে ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য বরাদ্দ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটনের হাল ফেরাতে বিনামূল্যে পাঁচ লক্ষ পর্যটন ভিসা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। থাকছে পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থাও।