ভারতেও করোনার নয়া উপরূপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বিশ্বজুড়ে আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন রূপের উপরূপ বিএফ.৭। এই উদ্বেগের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে এত ঘটা করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে টিকা দেওয়া হল, তা ভাইরাসের এই নয়া উপরূপকে ঠেকাতে কতটা কার্যকর?
চিন-সহ বেশ কয়েকটি দেশে কোভিডের হঠাৎ বৃদ্ধির পিছনে বিএফ.৭ উপরূপকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। চিন ছাড়াও আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ডেনমার্কে বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। চিনে দৈনিক কত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তার কোনও সরকারি তথ্য না থাকলেও সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দেশে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই আবহে ভারতেও করোনার নয়া উপরূপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের তরফে নয়া উপরূপের উপর টিকাগুলির কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য কিছু নমুনা অধ্যয়ন করা হচ্ছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘বর্তমানে উপলব্ধ টিকাগুলি নতুন উপরূপের সংক্রমণ বা অসুস্থতা প্রতিরোধে কার্যকর কিনা তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।’’ ভারতে জুলাই মাস থেকে বিএফ.৭ উপরূপের সংক্রমণের অন্তত চারটি ঘটনা ঘটেছে। তবে, আক্রান্তদের সকলেই সেরে উঠেছেন। তাই আশা করা হচ্ছে, নতুন উপরূপকে ঠেকাতে সক্ষম ভারতীয় টিকাগুলি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বেশির ভাগ ভারতীয়কে ‘কোভিশিল্ড’ বা ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে বেশ কয়েক দিন ধরে দৈনিক দু’শোর কম মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।