ফাইল ছবি।
ভারতে ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সি মাত্র ১২ শতাংশ নিয়েছেন কোভিডের বুস্টার টিকা। এমনই খবর সরকারি সূত্রের। দেশে এই বয়সিদের মোট সংখ্যা ৭৭ কোটি। করোনা তুলনামূলক ভাবে কমলেও বুস্টার টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সামগ্রিক অনীহায় চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্যকর্মীদের কপালে।
সরকারি তথ্য বলছে, সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়ঃসীমার ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের মাত্র ৩৫ শতাংশ বুস্টার টিকা নিয়েছেন। এই স্তরের মধ্যেই পড়েন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধারাও এই তালিকায় পড়ছেন। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকাদান শুরু হয় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে। সরকারি তথ্যে আরও দেখা যাচ্ছে, অন্তত পাঁচটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে যেখানে বুস্টার টিকাদানের হার ১১ শতাংশ কিংবা তার চেয়েও কম। গোয়ায় মাত্র ১১ শতাংশ বুস্টার টিকাদান হয়েছে। হরিয়ানায় ১০ শতাংশ, পঞ্জাবে ১০ শতাংশ, ঝাড়খণ্ড ও নাগাল্যান্ডে ন’শতাংশ এবং মেঘালয়ে আট শতাংশ। কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ে মাত্র ১১ শতাংশ বুস্টার টিকা নিয়েছেন।
অন্য দিকে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৭৮ শতাংশ জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই বুস্টার টিকা পেয়ে গিয়েছেন। তার পরেই আছে লাদাখ (৫৯ শতাংশ), পুদুচেরি (৪২ শতাংশ), ছত্তীসগঢ় (৩৫ শতাংশ) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (৩৪ শতাংশ)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৯৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক অন্তত একটি করে টিকা পেয়েছেন। ৯২ শতাংশ পেয়েছেন দুটো টিকাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার বুস্টার টিকা নেওয়ায় সামগ্রিক অনীহার চিত্র।