প্রতীকী চিত্র।
ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের সই করতে হচ্ছে একটি অনুমতিপত্রে। সেখানে লেখা শর্তাবলী মেনে চলার প্রতি, প্রতিশ্রুতি দিতে হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি, যদি কোনও মানুষের শরীরে টিকার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই অনুমতিপত্রে।
অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে, ‘যদি টিকার কারণে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গ্রহীতার শরীরে দেখা দেয়, তাহলে সরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে তাঁর দরকারি চিকিৎসা করা হবে। যদি দেখা যায়, টিকার কারণে শরীরে বড় কোনও ক্ষতি হচ্ছে, তাহলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণের মাত্রা ঠিক করবে আইসিএমআর-এর এথিকস কমিটি’।
ভারতে যে দু’টি করোনার টিকা অনুমতি পেয়েছে, তার মধ্যে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অন্যতম। এ ছাড়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডও ভারতে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। ভারতে এই টিকা তৈরি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট। যাঁরা কোভিশিল্ডের টিকা নিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও অনুমতিপত্রে সই করতে হচ্ছে না। তবে তাঁদের দেওয়া হচ্ছে একটি বিশেষ নথি। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে যেখানে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে ।
আরও পড়ুন:কোভ্যাকসিন নয়, কোভিশিল্ড দিলে তবেই টিকা নেব, ঘোষণা চিকিৎসকদেরই একাংশের
আরও পড়ুন: জনতা কার্ফু এবং থালা-বাটি বাজানোর পক্ষে যুক্তি দিলেন মোদী