প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস ও লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি বেহাল। চাঙ্গা করতে একাধিক পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ফলে রাজকোষের হালও অত্যন্ত খারাপ। তার মোকাবিলায় এ বার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বর্ধিত ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (ডিএ) বা মহার্ঘ ভাতা দেড় বছরের জন্য বন্ধের ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই সময়ে বন্ধ থাকবে পেনশনভোগীদের বর্ধিত মহার্ঘ ভাতাও।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ এর জুন পর্যন্ত দেড় বছর বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না। একই নিয়ম কার্যকর হবে পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও। ২০২১ সালের জুলাই থেকে যখন ডিএ দেওয়া হবে, তখন সংশোধিত হারে দেওয়া হবে। তবে কোনও বকেয়া দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সাধারণত কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই অনুসরণ করে রাজ্যগুলি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ক্ষেত্রেও সেটা হলে রাজ্য কেন্দ্র মিলিয়ে সরকারের এক লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। সেটা করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় খরচ করা সম্ভব হবে। অন্য দিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন দেশের প্রায় ৪৮ লক্ষ ৩৪ হাজার সরকারি কর্মী এবং প্রায় ৬৫ লক্ষ ২৬ হাজার পেনশনভোগী।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ১৭ হারে মহার্ঘ ভাতা পান। সেই ভাতা ৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ২১ শতাংশ। কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির ফলে এখন অতিরিক্ত এই ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন না কর্মী ও পেনশনভোগীরা।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ছাড়াল ২১ হাজার, নতুন সংক্রমণ ১৪০৯
আরও পডু়ন: করোনার আগে আর এখন, একই জায়গার দুই বিপরীত ছবি হতবাক করে দেবে
সংঘের ছাতার তলায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সংগঠন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ন্যাশনাল কনফেডারেশনের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। সংগঠনের নেতা প্রবীর কুমার সিংহ বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কোনও কিছু বলার প্রশ্নই নেই। তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের ডিএ যখন ঘোষণা হবে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যদি দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে।’’