প্রতীকী ছবি।
কোভিড টিকা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি, গুজব ছড়িয়েছে। তড়িঘড়ি অনুমোদন দেওয়া নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এ বার গুজব ছড়ালে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের চিঠি লিখে এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। রাজ্যগুলিও সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে।
এর মধ্যেই গত ১৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদানের প্রক্রিয়া। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিশিল্ড এবং হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের। কিন্তু দুই টিকা নিয়েই নানাবিধ গুজব, রটনা, ভুয়ো ও মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে সারা দেশেই। ঠিকমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, প্রয়োগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে— এমন নানা আলোচনা, সমালোচনা ফিরছে মুখে মুখে।
সেই সব রুখতেই এ বার চিঠি লিখে রাজ্যগুলিকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলল কেন্দ্র। গত সপ্তাহে অজয় ভাল্লার ওই চিঠিতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং এই সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোভিড টিকা নিয়ে এই সব গুজব, ভুয়ো খবর, রটনা বা মিথ্যে তথ্য ছড়ানো রুখতে ওই সব আইন প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, কোনও ভুয়ো খবর ছড়ালে সেই সংক্রান্ত আসল তথ্য দিয়ে প্রচার চালাতে হবে।
করোনা অতিমারির প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশে কার্যকর করা হয়েছে মহামারি আইন। সেই আইনে বহু বিধানের মধ্যে অন্যতম গুজব, রটনা বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও এখনও অতিমারি শেষ হয়নি। তাই সারা দেশে মহামারি আইনও যে এখনও কার্যকর রয়েছে, সেই অতিমারি আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আরও এক বার রাজ্যগুলিকে স্মরণ করিয়ে দিল কেন্দ্র।