Coronavirus Update

দেশে সংক্রমণের হার আড়াই শতাংশের নীচে, মোট মৃত্যু ছাড়াল ১ লক্ষ ৪৪ হাজার

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৯৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৪৭ জন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:২২
Share:

দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

গত ৩ দিন ধরেই দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৩০ হাজারের কম। মঙ্গলবার তা কমে ২২ হাজারে নেমেছিল। বুধবার কিছুটা বেড়ে তা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। কোভিডের জেরে দৈনিক মৃত্যুতেও রাশ পড়েছে। গত ৪ দিন ধরেই তা ৪০০-র কম। সঙ্গে সংক্রমণের হারও আড়াই শতাংশের নীচে রয়েছে। চুম্বকে এটাই দেশের করোনা-চিত্র।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৩৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৯৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৫৪৭ জন। এই সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান ভারতের। প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকার মোট আক্রান্ত দেড় কোটি ছাড়িয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতি দিন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন সেখানে। আমেরিকারয় মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। তুলনায় তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে দৈনিক সংক্রমণ মাস খানেক ধরে অনেকটাই কম। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে এখনও পর্যন্ত ৬৯ লক্ষ ৭০ হাজার জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

Advertisement

করোনাভাইরাস এখনও অবধি ভারতে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারা গিয়েছেন ৩৮৭ জন। দেশের মোট মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে। সেখানে প্রাণ গিয়েছে ৪৮ হাজার ৩৮৭ জনের। দেশের মৃত্যু তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কর্নাটকে এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে দিল্লি (১০,১১৫), পশ্চিমবঙ্গ (৯,১৪৫),উত্তরপ্রদেশ (৮,১০৩), অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,০৬৪)। পঞ্জাব, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানেও মোট মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্ত এবং মৃত্যু বৃদ্ধির মধ্যেই স্বস্তিদায়ক দেশের সুস্থতার হার। ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়া শুরু থেকেই আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকে বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৪৯ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের ৯৫ শতাংশেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮১৩ জন। নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমেছে৭ হাজার ৮১৮। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ২ জন।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ২.৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬২৫ জনের। যা মঙ্গলবারের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ বেশি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )

দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই দৈনিক সংক্রমণ গত এক মাসে কমেছে। নভেম্বরের শুরুতে থেকে দিল্লিতে লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। গত কয়েক দিনে তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে দেশের মোট সক্রিয় রোগীর ৫৬ শতাংশই উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং মহারাষ্ট্র— এই পাঁচটি রাজ্য থেকে।

পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২৮৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৫ লক্ষ ২৫ হাজার৯১৮ জন। যদিও তার মধ্যে ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ১১০ জন রোগী সুস্থও হয়েছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৯ হাজার ১৪৫ জনের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement